কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী নেতা বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর আরাফাত।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কয়া মহাবিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে বর্তমান সভাপতির সঙ্গে স্থানীয় একটি গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরে। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১টার সময় কয়া ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে চারজন মিলে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। বাঘা যতীনের ভাস্কর্যের নাক ও ডান গালের কিছু অংশ ক্ষতবিক্ষত করে।নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমান এটি দেখে ফেলেন এবং পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে এ কথা জানান তিনি।
বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসসহ সংগঠননের সদস্য সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
তবে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহীনুর ওরফে বাচ্চু নামের আরেকজন এখনো পলাতক রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এর আগে ভাঙচুরের ঘটনায় কুমারখালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন কয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হারুন উর রশিদ।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন বিপ্লবী বাঘা যতীন।
ব্রিটিশ ভারতে বাঙালিসহ ভারতবর্ষের সব জাতিসত্তার স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল এক সূত্রে গাঁথা। প্রধান লক্ষ্য ছিল ইংরেজদের বিতাড়ন করা। আর ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে যারা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, যাদের আত্মদান ইংরেজ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে, তাদের অন্যতম বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
যিনি ‘বাঘা যতীন’ নামে বেশি পরিচিত। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা, অপরিসীম সাহস ও শৌর্যবীর্য তাকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের প্রথম সারিতে স্থান দিয়েছে।