কুষ্টিয়ায় একটি বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। এসময় বিয়ের অনুষ্ঠানের সব খাবার এতিমখানা ও মাদরাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের ফারাজী পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ০৩ জানুয়ারি হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের মো. কালু মিয়ার ছেলে মো. নিশানে সঙ্গে একই এলাকার ফারুখ হোসেনের কন্যা ফাহিমা আক্তারের সঙ্গে কোর্ট ম্যারেজ সম্পন্ন হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। গোপন খবর পেয়ে জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় বরপক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় উপস্থিত কনের অভিভাবককে অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে মানবিক দৃষ্টিতে কনের মা-বাবা থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।
সেই সঙ্গে বরপক্ষের জন্য রান্না করা খাবার উপজেলার হাটশ হরিপুর গোরস্থানের এতিমখানায় খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
ইউএনও পার্থ প্রতিম শীল বলেন, কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় দেশের প্রচলিত আইন মেনেই এ বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কনের মা ও বাবা শাস্তি হিসেবে বিয়ের বরযাত্রীদের জন্য তৈরি করা সব খাবার এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের বাল্যবিয়ে যাতে না হয়, সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে।
অভিযানে কুষ্টিয়া সদর ইউএনও পার্থ প্রতিম শীল ও কুষ্টিয়া মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌসসহ কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।