কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড়ীয়ায় বেগম হামিদা সিদ্দিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসএসসি ২০২৪ এর কৃতি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে দি নার্গিস এন্ড মান্নান মেরিট স্কলারশিপ এর উদ্যোগে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল ১১টায় কলেজ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিদ্দিক ফাউন্ডেশনের দাতা সদস্য ডা: আবু তালেব সিদ্দিক।
কলেজ পরিচালনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সিদ্দিক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিল আহমেদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিদ্দিক ফাউন্ডেশনের দাতা সদস্য জাকিয়া সিদ্দিক, সিদ্দিক ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা ও জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ড. আখতারুজ্জামন, কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ইসলামি ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. নবীনূর রহমান খান, বেগম হামিদা সিদ্দিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খাতুন, স্কুল শাখার সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলাম, কলেজ শাখার সিনিয়র লেকচারার ডিএম সামিউল হক খান পাঠান।
বক্তারা বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে আমাদের। মাদকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন নষ্ট না হয়ে যায়, তা আমাদের সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ মাদক সমাজের বিভিন্ন স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে। এটাকে প্রতিহত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা, ক্রীড়া বিনোদনের কোনো বিকল্প নেই। তাই আমাদের ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষিত করতে হবে। তাহলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বক্তারা আরও বলেন, সিদ্দিক ফাউন্ডেশন না হলে এই জনপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতো না। এখান থেকে শিক্ষা বঞ্চিত হতে হতো অনেককে। সিদ্দিক ফাউন্ডেশনের দাতা সদস্যরা আমেরিকা থেকেও দেখভাল করছে। এখানে বিএম এবং জেনারেল কলেজ রয়েছে এসএসসি পাশ করে এখানেই ভর্তি হয়ে পড়ালেখা করবে শিক্ষার্থীরা। লেখাপড়া শিখে মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠতে শিক্ষার্থীদের বিকল্প নেই বলেও জানান তারা।
বক্তারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের এ জনপদের শ্রেষ্ঠ সন্তান কামরুল ইসলাম সিদ্দিক এর পদাংক অনুসরণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে নার্গিস অ্যান্ড মান্নান মেরিট স্কলারশিপের উদ্যোগে ১০ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট ও শিক্ষা বৃত্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়। এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল কিন্তু ভালো ফলাফল করেছে সপ্তম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১৮ জন শিক্ষার্থীর হাতেও শিক্ষা বৃত্তির নগদ অর্থ তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রকৌশলী মরহুম কামরুল ইসলাম সিদ্দিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে ১৯৯৫ সালে বড়ীয়ায় মায়ের নামে এই স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।