কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বিশ্বাসকে (৪৯) হত্যার ১১ দিন পর আদালতের নির্দেশে মামলা নিয়েছে পুলিশ। রবিবার কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে কুমারখালী থানায় এই মামলা রুজু করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল হোসেন, মো. আফজাল হোসেন, মো. মুক্তার হোসেন, মো. হাবিবুর রহমান, মো. আলম কাজী ও হাবিবুর রহমান হান্নান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের নাউথী গ্রামের ব্যবসায়ী ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাসির উদ্দিন রাত ৯টার দিকে শিলাইদহ থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথে সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর ওপর পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা আসামিরা তাঁকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ফেলে রেখে যায়।
পরে পথচারীর মোবাইল ফোন পেয়ে নাসিরের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নাসিরকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মুমূর্ষু অবস্থায় তিনি জানান মামলায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা হত্যার উদ্দেশে তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ীর ভাই ও মামলার বাদী মো. বশির উদ্দিন জানান, গত ১৫ জুলাই কুমারখালী থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে এজাহার জমা দিলে থানা মামলা না নিয়ে ফেরত দেয়। পরদিন ১৮ জুলাই আদালতে মামলা করেন তাঁরা। আদালতের নির্দেশে গতকাল হত্যা মামলা রুজু করে কুমারখালী থানা পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, আদালতের নির্দেশে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।