আখের গুড়ের সাথে চিনি, আটা, হাইড্রোজ, ফিটকারি, সোডা, চুন, ডালডাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে রাতের আঁধারে তৈরি হচ্ছে নকল আখের গুড়।
গুড়ের জন্য প্রসিদ্ধ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এমনিই দুইটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার দুপুরে (২১ সেপ্টেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার খোকসায় এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, খোকসা উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড়ে দিলীপ ট্রেডার্স ও কালিবাড়ি রোডস্থ মাতৃ ভান্ডার নামের ভেজাল আখের গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসাবে ভোক্তাদের প্রতারক,খাদ্যের ভেজাল মিশ্রিত ও জেনে-বুঝে মানুষের জীবননাশে ভেজাল খাদ্যপণ্য বাজারজাতকরণের অপরাধে নিত্যগোপাল এর দোজালিতে অভিযানে দেড় লাখ টাকা ও দীলিপ ট্রেডাস কে ১ লাখ টাকা মোট আড়াই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বেশকিছু মালামাল ধংস করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল জানান, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলায় খেজুর গুড় তৈরিতে সুনাম রয়েছে। এই গুড় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। আর এই সুনামকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল গুড় তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করছে।
তিনি আরও জানান, এই নকল গুড়ে এমন সব রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে তা মানবদেহের জন্য মারাত্মাক ক্ষতিকর। এই গুড় খেলে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাসহ তৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুও হতে পারে। আর এই নকল গুড় তৈরিতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
কারখানা গুলো একেবারে বন্ধ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় কুষ্টিয়া জেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর সুলতানা রেবেকা ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য কতৃপক্ষ’র নমুনা সংগ্রহকারী শান্তনা পারভীনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।