ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ (মার্কারি) ও হাইড্রোকুইনোন থাকায় ১৭টি রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।
সোমবার (১৮ জুলাই) কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এসব ক্ষতিকর কসমেটিকস বিক্রির অভিযোগে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শারমিন নেওয়াজ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল।
তারা জানান, বিএসটিআই কর্তৃক নিষিদ্ধ ক্ষতিকর মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত বিভিন্ন ব্রান্ডের রঙ ফর্সাকারী ক্ষতিকর স্কিন ক্রিম বিক্রয়ের অপরাধে কুষ্টিয়া শহরের বড় বাজারের বজলু স্টোরকে ৪০ হাজার টাকা এবং জাহাঙ্গীর স্টোর কে ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়। একই সাথে বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকর স্কিন ক্রিম ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে সহায়তা করেন জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) সুলতানা রেবেকা নাসরীন, জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ পরিদর্শক জিয়া হায়দারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সম্প্রতি, ক্ষতিকর মাত্রায় পারদ (মার্কারি) ও হাইড্রোকুইনোন থাকায় ১৭টি রং ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)। খোলাবাজার থেকে বিভিন্ন ধরনের রং ফর্সাকারী স্কিন ক্রিমের নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা শেষে ১৭টি স্কিন ক্রিমের নমুনায় মাত্রাতিরিক্ত মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ফলে এসব ক্রিম উৎপাদন, আমদানি, বিপণন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিডিএস অনুযায়ী সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য মাত্রা ৫ পিপিএম থাকার কথা। অথচ ১৭টি ক্রিমেই মার্কারির মাত্রা ৪০ পিপিএম থেকে ২২২ পিপিএম ছাড়িয়েছে। আর আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড ও বাংলাদেশের নাটোরের গোল্ড কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রিজের গোল্ডে হাইড্রোকুইনোন পাওয়া যায় ৮ থেকে ৩০ পিপিএম। নুর গোল্ড কসমেটিকস, পাকিস্তানের নুর হারবাল বিউটি ক্রিমে মার্কারির পরিমাণ ২২২ দশমিক ২১ পিপিএম। লাওয়া ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তানের পাস্ক ক্রিমে মার্কারির পরিমাণ ২১৯ দশমিক১৩ পিপিএম।