কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম ওরফে নান্নু (৪৫) হত্যা মামলায় আরো তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া র্যাব-১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার বি এন এম আবুল হাশেম সবুজ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের আতাহার আলীর ছেলে মো. সবুজ আলী (৪৩), হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. বাবু (২৫) ও মো. আতাহারের ছেলে মো. সুমন (৪২)।
নিহত নান্নু উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক।
কুষ্টিয়া র্যাব -১২, সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার বিএন এম আবুল হাশেম সবুজ জানান, গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় ইফতার শেষে মোটরসাইকেল করে নান্নু কেশবপুর এলাকায় তার ইজারাকৃত পুকুরে মাছ পাহারা দিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে নান্নুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে এবং কলাবাগানে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন রাতেই নিহত নান্নুর সমর্থকরা বেশকিছু ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসব ঘটনায় কুমারখালী থানায় দুইটি পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে।
হত্যা মামলায় ঘটনার দিন আটককৃত যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান গ্রেফতার হন। তিনি বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।
চাঞ্চল্যকর নান্নু হত্যা মামলার পলাতক তিনজন আসামিকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।