কুষ্টিয়া জেলা শহরের বড়বাজার কবি আজিজুর রহমান সড়ক এলাকায় অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ঔষধ তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছেন র্যাব সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে কারখানা মালিককে এক বছর কারাদন্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে।
এছাড়া এলেক্স ইউনানি ল্যাবরেটরিজ নামের ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপ, ঔষধ তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সবুজ হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্ত নিজ বাড়িতে কারখানা স্থাপন করে অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ঔষধ তৈরি করে আসছিলেন। এসব অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ঔষধ কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে অবৈধভাবে বাজারজাত করা হতো।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি টিম বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: সবুজ হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় কারখানার মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩০) কে ঔষধ আইন, ১৯৪০ এর ১৮ (খ) লঙ্ঘনে একই আইনের ২৭ ধারায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে কোম্পানি কমান্ডার, র্যাব-১২, কুষ্টিয়া ও তাঁর একদল চৌকস বাহিনী, সহকারী পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, কুষ্টিয়া সহ আরও অনেকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন৷
এ বিষয়ে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: আলাউদ্দিন বলেন, এ ধরনের মান নিয়ন্ত্রণহীন যৌন উত্তেজক সিরাপ সেবনে তাৎক্ষণিক উত্তেজনা দেখা দিলেও দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে লিভার, কিডনি ড্যামেজের পাশাপাশি হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যেতে পারেন সেবনকারীরা। ড্রাগের চেয়েও ক্ষতিকর এই সিরাপ। এই পণ্যটির ভোক্তা হলো ট্রাকচালক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে বেকার যুবক ও শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর নজরদারির দাবিও জানান তিনি।