কুষ্টিয়ায় মিরপুরে ১১ বছর বয়সী শিশুকে (৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী) ধর্ষণের অভিযোগে ফুফা আবুল হাসেমকে (৫৫) কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় অভিযুক্তকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে রবিবার রাতের ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় শিশু ধর্ষণ অভিযোগে করা মামলার একমাত্র আসামি আবুল হাসেমকে গ্রেফতার করে আদালতে সৌপর্দ করে মিরপুর থানা পুলিশ।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, মিরপুর থানায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার ভিকটিম শিশুটির ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত (১৬ ফেব্রুয়ারী) রবিবার রাতে শিশুটির পরিবারের মা, বাবা, দাদিসহ সবাই বাড়ির পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিলে যান। রাত ৯টার দিকে শিশুটির ঘুম পাচ্ছে বলে মাকে জানালে মা বাড়িতে গিয়ে ঘুমাতে বলেন। শিশুটি বাড়িতে এসে ফুফু মিনারা খাতুনের ঘরে টিভি চলতে দেখে সেখানে যান। এসময় ওই কক্ষে মিনারা খাতুন ও তার স্বামীও ঘুমাচ্ছিল। টিভি দেখার এক পর্যায়ে শিশুটিও সেখানে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিনারা খাতুনের স্বামী হাসেম আলী ঘুমন্ত শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে। এঘটনায় শিশুটির পিতা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় হাসেম আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার একমাত্র আসামি হাসেম আলীকে (৫৫) গ্রেফতার করে আদালতে সৌপর্দ করা হয়েছে। আদালত শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
মেপ্র/ইএম