রাজধানীর বিভিন্ন স্বনামধন্য খাবারের দোকানের সাথে মিলিয়ে রাখা খাবারের দোকানের নাম ব্যবহার করে কুষ্টিয়া শহরে চলছে অসংখ্য রেস্টুরেন্ট।
যেগুলোতে পরিবেশন করা হচ্ছে নিম্নমানের পচা-বাসি খাবার। না জেনে-বুঝে শহরের অসংখ্য মানুষ তা খাচ্ছেন প্রতিদিন।
দোকান সংশ্লিষ্টদের কথায় অনেকটা স্পষ্ট, এগুলোর সাথে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানের কোন সংযোগ নেই।রাজধানীর নামীদামী হাজীর বিরিয়ানি ও নান্না বিরিয়ানির নামের সাথে মিল রেখে এসন দোকান পরিচালনা করে থাকে।খাবারের মান একেবারেই নেই বললেই চলে।
নোংরা স্যাঁতসেতে পরিবেশ, পঁচা বাসী খাবার দিলেও ক্রেতারা অবশ্য এ বিষয়ে কিছু বলতে পারে না। এসব রেস্টুরেন্টের হেঁসেল কিভাবে চলছে তা দেখার জন্য কোন অনুমতি নেই।
নামসর্বস্ব নান্নার রান্না দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। অন্যগুলোর অবস্থাও একই। পচা-বাসি কোন খাবারই ফেলে দেয়া হয় না এখানে। আর যে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা হয় খাবার, তা হঠাৎ দেখায় মনে হতে পারে আবর্জনার ভাগাড়।
শুধু এই হাজী কিংবা নান্না বিরিয়ানীই নয় শহরের ওলিতে গলিতে নামসর্বস্ব এমন অনেক রেস্তরা গড়ে উঠেছে। এরমধ্যে শহরের চাররাস্তা থেকে ৬ রোস্তা মোড়ের দিকে বেশকিছু মিনি চাইনিজের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
মাঝে মাঝে বড় বড় গোটেল রেস্তরায় অভিযান চালালেও এসব প্রতিষ্ঠানে কোন অভিযান পরিচালনা হয় না বললেই চলে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, এমন খাবার শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকির কারণ।এসব দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের। অথচ তাদের কাছে গিয়ে মিললো গৎবাঁধা বক্তব্য। কুষ্টিয়া হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য, শহরে রেস্টুরেন্ট আছে ৩০০’রও বেশি।