কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৭।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, করোনা রোগী ও সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ঘোষণা করে চিকিৎসক, জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধির জন্য আজই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালককে হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাক্তার আব্দুল মোমেন চিঠি দিয়েছেন। করোনা রোগীর বাড়তি চাপ সামলাতে চিকিৎসক, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টসহ জনবল বৃদ্ধি ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটার জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার জন্য ওই চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠির পর নতুন ১০জন ডাক্তারকে এখানে ডেপুটেশনে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, এ হাসপাতালে ননকোভিড রোগী ভর্তি ও চিকিৎসা সংকুচিত করে পাশের ডায়াবেটিক হাসপাতালে বিকল্প ব্যবস্থায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগী সংখ্যা বাড়ছে। গত রবিবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরির প্রাপ্ত রিপোর্টে ৮৬জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এরআগে শনিবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরির প্রাপ্ত রিপোর্টে ১৬৪জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার রাতে ১১২ জন শনাক্ত হয়েছিল। চিকৎসকরা বলছেন, চলতি মাসের প্রথমদিকে জেলায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ১০ ভাগ। পরবর্তীতে সংক্রমণ বেড়ে ৩০ ভাগের উঠে।
ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতিতে এখন সংক্রমণ হার ৪২ ভাগের ওপরে উঠে গেছে। হাসপাতালে ১০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে এখন রোগী ভর্তি আছে ১১০ জন। করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে নতুন রোগী ভর্তির সুযোগ নেই। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা রোগীর চিকিৎসায় সর্বাত্মক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে জেলা জুড়ে লকডাউনসহ কঠোর স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণের বিকল্প নেই।