নানা অজুহাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে জরিমানা আদায় করা সহ ইটভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে। এসময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা কার্যালয় চত্বর
কুষ্টিয়া ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠুসহ সমিতির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ইটভাটা মালিক এসময় বক্তব্য রাখেন।
হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেন, দেশের উন্নয়নের চাকা সচল করতে সড়ক ও মহাসড়ের নির্মান কাজের জন্য ভাটা থেকে ইট সংগ্রহ করে সে গুলো মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষন করা হয়। শুধু তাই নয়, ইটভাটাগুলো এভাবে একেরপর এক বন্ধ হয়ে গেলে, মানুষের বাড়ী-ঘর, মসজিদ, মাদ্রসা, শিক্ষাপ্রতিষ্টানসহ গ্রামীন উন্নয়ন সম্পূর্ণ রুপে বাধাগ্রস্থ হবে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ইটভাটাগুলি বন্ধ হয়ে গেলে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নও ব্যহত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইটভাটা মালিক ভাটা বন্ধ করে দেবো। কিন্তু লাখ লাখ শ্রমিকের কাজ বন্ধ হবে। তাদের কি হবে। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায়। আবার যদি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায় করা হয় তাহলে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির পর অনির্দিষ্টকালীন সময় পর্যন্ত জেলার সকল ইটভাটা মালিকগণ ইট বিক্রিয় ও সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বিগত ২০১৩ সালে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক সংশোধিত আইন এর ৮(ঙ) ধারা পরিবর্তন করা হয়। এতে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়। এতে ভাটার মালিকগণ চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয় কারন তারা আর নিবন্ধন করতে পারে না। আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত এসব ইটভাটা চালুর দাবীও জানানো হয়।
মিরপুর উপজেলা ইট প্রস্তুত সমিতির আরেক সদস্য জানান, আমি ইটভাটায় পোড়ায় মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করি। ইটভাটা বন্ধ থাকলে কিভাবে সংসার চালাবো। ছেলেমেয়ে মানুষ করবো। তাই ইটভাটায় এতো বেশি মোবাইল কোর্ট না করার অনুরোধ করছি।
এদিকে প্রায় দশ হাজার শ্রমিকের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসুচীতে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে চৌড়হাস পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়েন যাত্রীসাধারনরা।