কুষ্টিয়া পৌরসভা এলাকায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহের জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভা এলাকায় কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ব্যতীত অন্য সব দোকান-পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় বলা হয়, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে করোনা সংক্রমণের আধিক্য বিবেচনায় পৌর এলাকায় জরুরি সেবা ব্যতীত সকল দোকান, কাঁচাবাজার এবং জনসমাবেশের স্থান ১১ জুন রাত ১২টা থেকে আগামী এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। এছাড়া অন্য উপজেলায় সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ রাখা, হোটেলগুলোতে লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং যত্রতত্র একাধিক লোকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ব্যবস্থা নেবে।এ সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহসভাপতি এসএম কাদেরী শাকিল সহ সরকারি দফতরের কর্মকর্তাসহ জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা জানান, সার্বিকভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সন্ধ্যার পর একাধিক লোকের জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সর্বক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশনা দেন তারা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা ও জনগণকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে আসা হচ্ছিল। আপাতত কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।