গত ২৮ জুলাই যুগান্তরে ‘কাজ না করেই বিল উত্তোলন’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটিতে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলনের তথ্য উঠে আসে। সেই সংবাদটি যুগান্তরের মেহেরপুর প্রতিনিধি তোজাম্মেল আযম তার ফেসবুকে শেয়ার করেন। সেখানে বিভিন্ন জন্য বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এর মধ্যে একটি কুরুচীকর ও অশালীন মন্তব্য করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভাগ্নে ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের ছেলে তুর্য বিশ্বাস। তিনি মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করাসহ প্রতিবেদককে উদ্দেশ্যে করে ক-ুরচীকর মন্তব্য করেন এবং ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই মন্তব্য করেন।
বিষয়টি মেহেরপুরের সাংবাদিকদের নজরে এলে সাংবাদিকরা মন্তব্যকারী তুর্য বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে বিচারের আওতার আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম অল্ডাম বলেন, এই ধরণের কু-রুচীকর বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরণের উক্তি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। আমি উক্তিদাতার শাস্তি দাবি করছি।
মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু বলেন, মন্তব্যকারী প্রকাশিত সংবাদ সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি নন। তথাপিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মন্তব্য অশ্নিল, আশালীন ও কু-রুচীপূর্ণ বলে মনে করছি। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি একটি অনুসন্ধান প্রতিবেদন যা জনগুরত্বপূর্ণও বটে। সংক্ষুব্ধ হতে পারে ঠিকাদার বা প্রতিষ্ঠান, তা না হয়ে তৃতীয় কোন ব্যক্তির এরুপ মন্তব্য তদন্তের দাবি রাখে। আমি মনে করি সাংবাদিক তোজাম্মেল আযমের উচিৎ কু-রুচীকর মন্তব্যকারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা।
কারণ-ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩১(২) ধারাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ করে যা জনমনে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা আইন শৃঙ্খলার অবনতির উপক্রম হয় তাহলে এ আইনে অনুরুপ কাজ একটি অপরাধ। মন্তব্যকারীর এমন ওদ্ধত্বপূর্ন আচরণ মেহেরপুরের সাংবাদিক সমাজ উচিৎ জবাব দেবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
অনুসন্ধানী ওই প্রতিবেদক যুগান্তর প্রতিনিধি ও মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম বলেন, মন্তব্যকারী সমাজের একজন বিপথগামী যুবক। সে কারণে তার সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রুচিতে বাঁধছে। পারিবারিক অনুশাষন না থাকলে এমন আচরণ করাটাই তার জন্য স্বাভাবিক।