২০১৭ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১৫ কোটি ৯৭ লাখ। যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখের কিছু বেশি। অর্থাৎ পাঁচ বছরে দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। কিন্তু এই সময়ে জমি বাড়েনি। এর ওপর করোনা পরিস্থিতি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা। অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করেছিলেন, বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিবে। কিন্তু বর্তমান সরকারের দূরদৃষ্টি পদক্ষেপ আর কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিশ্বের গড় কৃষি উৎপাদনকে পেছনে ফেলে উপরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ২২টি ফসল উৎপাদনে বিশ্বসেরা ১০ দেশের মধ্যে অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
কৃষিপণ্যে বিশ্বের শীর্ষ দশে বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা, জলমগ্নতা, নদী ভাঙ্গনসহ বৈরী আবহাওয়া; কৃষিজমি কমে যাওয়া; জনসংখ্যা বৃদ্ধির মধ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বসেরা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এর হিসেব মতে, আয়তনে বিশ্বে ৯৪তম দেশ হলেও বাংলাদেশ নিম্নোক্ত ২২ ধরনের ফসল উৎপাদনে শীর্ষ দশে অবস্থান করছে।
এফএও এর মোট ১৬২টি প্রাথমিক কৃষিপণ্য উৎপাদনের তালিকায় বাংলাদেশের ৬৮ ধরনের কৃষিপণ্য স্থান পেয়েছে। এ তালিকায় যেমন একক পণ্য আছে, তেমনি সমজাতীয় ও মৌসুমভিত্তিক কয়েকটি পণ্যও আছে। এফএওর হিসাবে, ২০০১ সালে ১১টি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ দশে ছিল বাংলাদেশ। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এ সংখ্যা আর বাড়েনি। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে ২০১১ সালে পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ দশে স্থান পায় ১৭টি কৃষি পণ্য। এরপর বিভিন্ন বছরে যোগ হয় আরও পাঁচটি কৃষিপণ্য – পেঁয়াজ, কুমড়া, ফুলকপি ও ব্রকলি, পাখির খাদ্য (বীজ) এবং অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত শিমের বিচি। সব মিলিয়ে ২০২১ সালে ২২টি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ।
২২টি কৃষিপণ্যের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাট, সুপারি ও শুকনা মরিচ উৎপাদনে। চাল, রসুন। চিনি জাতীয় ফসলে (যেমন জোয়ার) বাংলাদেশ তৃতীয়। জাম, বরই, করমচা, লটকন ইত্যাদি বেরিজাতীয় ফল এবং অন্যান্য শ্রেণিভুক্ত সুগন্ধি মসলায় চতুর্থ। মসুর ডাল ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ফল (কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি) উৎপাদনে বাংলাদেশ ষষ্ঠ। সপ্তম অবস্থানে রয়েছে পেঁয়াজ, আলু, আদা, বেগুন, শিমের বিচি ও নারকেলের ছোবড়া উৎপাদনে। চা ও কুমড়ায় বাংলাদেশ অষ্টম। আম, পেয়ারা ও গাবজাতীয় ফল, ফুলকপি ও ব্রকলি এবং মটরশুঁটি ও পাখির খাদ্য (বীজ) শ্রেণিতে বাংলাদেশের অবস্থান নবম।
সব মিলিয়ে এফএওর হিসেবে আয়তনে ছোট (বিশ্বের ৯৪তম) হলেও প্রাথমিক কৃষিপণ্য (শুধু ফসল) উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৪তম। শীর্ষে রয়েছে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। এফএওর তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্যের পরিমাণ ৯ কোটি ৩৩ লাখ টন যার বাজার মূল্য ছিল ৩ হাজার ৬১১ কোটি মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় চার লাখ কোটি টাকার সমান।
প্রধান কিছু ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশের অগ্রগতি বেশ ভালো। আমন, আউশ ও বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনে বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টন খাদ্যশস্য উৎপাদনের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। কৃষির এ সাফল্য সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশ্বে গড় উৎপাদনশীলতা প্রায় তিন টন। আর বাংলাদেশে তা ৪ দশমিক ১৫ টন। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪ শ্রীলংকায় প্রথমবারের মতো চাল রফতানি শুরু করে সরকার। দুই দফায় প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল রপ্তানি করা হয়। এছাড়া ৬ মে ২০১৫ বাংলাবান্ধা বন্দর দিয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প কবলিত নেপালে ১০ হাজার টন চাল সাহায্য হিসেবে পাঠানো হয়েছে। এটা দেশের চাল উৎপাদনের সামর্থ্যরেই বহিঃপ্রকাশ।
দুই দশক আগে আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ ছিল ২০তম দেশ। এরপর কানাডা, তুরস্ক, পোল্যান্ডের মতো ১৩টি দেশকে একে একে পেছনে ফেলে ৭ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এফএওর তথ্য বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে আলু উৎপাদিত হয়েছে ৯৮ লাখ টন। মরিচ (শুকনা) উৎপাদনে ভারতের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। এক দশকে চীন ও থাইল্যান্ডকে পেছনে ফেলে মরিচ উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছে বাংলাদেশ। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে প্রায় ১১৩ কোটি মার্কিন ডলার। সবজি, শুকনা খাবার, মসলা, সুগন্ধি চাল ইত্যাদি কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১১৬ কোটি ডলারের বেশি। গেল ১৪ বছরে কৃষিতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে এর অন্যতম কারণ সময়োপযোগী পদক্ষেপ। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন।
কৃষি উপকরণ সহায়তা: বর্তমান সরকারের প্রবর্তিত কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড ১ কোটি ৮২ লাখ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, যা দেশে ও বিদেশে বিপুলভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের অনুসরণে ভারত সরকার কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
সারের ভর্তুকি ও সরবরাহ: বর্তমান সরকার ভর্তুকি দিয়ে চার দফায় সারের দাম কমিয়েছে। গেল সাত বছরে ৪৫.৪৮ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানির বিপরীতে ৪২.৪৭ লাখ মেট্রিক টন সার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া সার গুদামের ধারণক্ষমতা ৯৮ হাজার মেট্রিক টন থেকে ১.৫৪ লাখ মেট্রিক টন বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সেচ ভর্তুকি ও কৃষকের ব্যাংক একাউন্ট: মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেচের পানির ভর্তুকির টাকা সরাসরি কৃষকের একাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়।
কৃষি যন্ত্রপাতির ভর্তুকি: দেশের হাওড় ও চরাঞ্চলে ৭০ শতাংশ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, হারভেস্টরসহ বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে।
কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রম: কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। আউশে প্রণোদনা প্যাকেজও দিচ্ছে সরকার।
দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবন: বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনে শীর্ষে বাংলাদেশ। ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের সফলতাও বাড়ছে। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) বেশ কয়েকটি জাত ছাড়াও এরই মধ্যে পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) বিজ্ঞানীগণ মোট ১৩টি প্রতিকূল পরিবেশে সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে লবণসহিষ্ণু নয়টি, খরাসহিষ্ণু দুটি ও বন্যাসহিষ্ণু চারটি ধানের জাত। ২০১৩ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেন বাংলাদেশের কৃষি গবেষকগণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এতগুলো প্রতিকূল পরিবেশসহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবনের দিক থেকেও বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম জেনেটিকেলি মোডিফাইড ফসল বিটি বেগুনের চারটি জাত অবমুক্ত করে। যার মধ্যে বেগুনের প্রধান শত্রু ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী জীন প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং মাধ্যমে আলুর নাবি ধসা রোগের প্রতিরোধী জিন প্রতিস্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
সমন্বিত কৃষি সম্প্রসারণ সেবা প্রদান: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দক্ষ, ফলপ্রসূ, বিকেন্দ্রীকৃত, এলাকানির্ভর, চাহিদাভিত্তিক এবং সমন্বিত কৃষি সম্প্রসারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে সব শ্রেণির কৃষকদের প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ, যাতে টেকসই ও লাভজনক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিতকরণসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধিত হয়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, কৃষি তথ্য সংস্থা, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, ইত্যাদিসহ বিভিন্ন রেসরকারি প্রতিষ্ঠানও দক্ষ কৃষি সম্প্রসারণ সেবা দিয়ে বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে।
তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ই-কৃষি: তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ই-কৃষি এর মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ সেবা কৃষকের জীবনযাত্রা উন্নয়নে খুলে দিয়েছে সম্ভাবনার জানালা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সারাদেশে ৭২৭টি কৃষক তথ্য ও পরামর্শ কেন্দ্র (ফিয়াক) স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ দিচ্ছে। কৃষি তথ্য সার্ভিস দেশের প্রত্যন্ত গ্রামে ২৪৫টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করেছে। এছাড়া ২৮ অক্টোবর ২০১৫ ইনফো-সরকার ২৫৪টি উপজেলার ২৫৪টি আইপিএম/ আইসিএম কৃষক ক্লাবকে এআইসিসিতে রূপান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষি তথ্যকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনলাইনে জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের ১৬১২৩ নম্বরে যে কোনো মোবাইল থেকে ফোন করে নামমাত্র খরচে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিষয়ে কৃষি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে। মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট অফলাইন/অনলাইনে সার সুপারিশ নির্দেশিকা প্রদান করছে। আখ চাষিরা মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে ই-পুর্জি সেবা গ্রহণ করছেন। এমনকি ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দেশ-বিদেশের কৃষি তথ্য সেবা পাওয়া যাচ্ছে। ‘কৃষকের জানালা’ নামক মোবাইল এপস এর মাধ্যমে কৃষকগণ ছবি দেখে ফসলের রোগ ও পোকামাকড় সনাক্তকরে প্রতিকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে। টেলিভিশন, রেডিও, কমিউনিটি কৃষি রেডিও এর মাধ্যমে কৃষকগণ কৃষি সম্প্রসারণ সেবা পাচ্ছে।
শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি: দুই যুগ আগেও বাংলাদেশের অর্ধেক এলাকায় একটি ও বাকি এলাকায় দুটি ফসল হতো। বর্তমানে দেশে বছরে গড়ে দুটি ফসল হচ্ছে। সরকারের যুগোপোযোগী পরিকল্পনা, পরিশ্রমী কৃষক এবং মেধাবী কৃষি বিজ্ঞানীদের স্বল্প আয়ুষ্কালসম্পন্ন জাত উদ্ভাবণ ও সম্প্রসারণবিদদের সম্প্রসারণ সেবা, ইত্যাদি যৌথ প্রয়াসে দেশে শস্যের নিবিড়তা এখন ১৯৭%, কোন কোন উপজেলায় শস্যের নিবিড়তা এখন ২৫০% এর বেশি।প্রতিবছর আবাদী জমির পরিমান কমে যাওয়া ও জনসংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও বর্তমান জনগণবান্ধব সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় ১৩১৪ ডলার এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ (এ যাবৎ কালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ)। কৃষিতে বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন বিশ্বের যে কোনো উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ।
বাংলাদেশের কৃষির এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং এ দেশের কৃষি ও কৃষকের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিতকাও অপরিহার্য।
লেখক: অধ্যাপক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।