জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। বাড়ছে কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার গুরুত্ব। কৃষিকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একাধিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাত্ত্বিক শিক্ষার ওপর জোর থাকলেও ব্যবহারিক শিক্ষায় ততটা গুরুত্ব নেই। অনেক সময় মাঠ গবেষণার কাজ ল্যাব ক্লাসেই সীমাবদ্ধ রেখে কোর্স শেষ করে দেওয়া হয়। ফলে বাস্তবিক গবেষণালব্ধ জ্ঞানার্জন আর সম্ভব হয়ে ওঠে না।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তারই আলোকে সোমবার যুগান্তর প্রতিনিধির সঙ্গে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা। বলেছেন কৃষি বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইন্টার্নশিপ চালু করতে পারলে শিক্ষার্থীদেরকে মাঠভিত্তিক প্রায়োগিক জ্ঞানদান করে গবেষণামুখী করা সম্ভব।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাদিয়া তন্নী বলেন, গ্র্যাজুয়েশন লেভেলে থিসিস শেখানোটা খুব জরুরি। একটা সেমিস্টারে ইন্টার্নশিপ রাখলে অনেক কিছু শেখার সুযোগ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থী মাজেদ বলেন, শুধু শিট মুখস্থ করে, নামমাত্র ল্যাবে কিছুই হয় না। ভালো কিছু শিখতে ইন্টার্নশিপ সময়োপযোগী একটি পদক্ষেপ হবে। আদিবা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কৃষি আমাদের প্রায়োগিক বিষয়। কিন্তু আমাদের সমস্ত জ্ঞান শিটকেন্দ্রিক। ইন্টার্নশিপ অন্তত ৩ মাসের জন্য হলেও কিছু শিখতে পারব আশা করি।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মাহমুদ আল হাসান বলেন, অবশ্যই মাঠভিত্তিক ব্যবহারিক পড়াশোনার প্রয়োজন। আমাদের দেশে হচ্ছে বেশি মুখস্থ বিদ্যা, যা কোনো কাজে আসে না। আমাদের দেশের কৃষি গবেষণাকে আরও ঢেলে সাজানো উচিত।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া ইন্টার্নির বিষয়ে বলেন, এটার জন্য সরকার যদি বাজেট দেয় তাহলে পজিটিভ একটা প্রভাব ফেলবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এ বিষয়ে বলেন, কৃষিতে আমরা ৪ বছরে ৮ সেমিস্টার শেষ করি। এই ৮ সেমিস্টারের সময়ের মধ্যেই ইন্টার্নশিপটা যদি শেষ করে ফেলা যায়, তাহলে আমি ব্যক্তিগত মনে করি উপকারী হতে পারে।