পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরাইশি বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস বিস্তারের জন্য চীনকে দোষারোপ করা হচ্ছে। চীন থেকে শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে না আনার ক্ষেত্রে পাকিস্তান আত্মবিশ্বাসী ছিল। এসব শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের বিপদের মধ্যে পড়তে হয়নি।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভির সঙ্গে চীন সফর শেষে তিনি বলেন, কেউ-ই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে একা লড়তে পারবেন না। একটি জাতি হিসেবে আমাদের সবাকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। উহান থেকে মাত্র একজন আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। যখন আমরা এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে যাই, তখন আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তটিই নিতে হবে।
ভারতীয় নৃশংসতার বিরুদ্ধে যেভাবে ভূমিকা রাখা হয়েছে, এই ভাইরাস মোকাবেলায় তেমনি ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কুরাইশি বলেন, এখন কোনো মিছিল-সমাবেশের আয়োজনের সময় না।
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীতে বিপর্যন্ত চীনে সরকারি সফর শেষে ফিরে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানের এই শীর্ষ কূটনীতিক।
বুধবার দেশটির এক সরকারি বিবৃতি জানিয়েছে, তার শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা; সেই পরীক্ষাও করা হবে।
পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার ঘোষণা দিয়ে কুরাইশি বলেন, বিশেষজ্ঞরা আমাকে আইসোলেশনে যাওয়ার এবং পাঁচদিন পর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে পরামর্শ দিয়েছেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডা. আরিফ আলভির সফরসঙ্গী হিসেবে সোম ও মঙ্গলবার চীনে ছিলেন কুরাইশি।
করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার পর প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে চীন সফরে যান ডা. আরিফ আলভির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
এসময় তারা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ও ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের প্রধান লি ঝানসুর সঙ্গে বৈঠক করেন।
দেশটির কেন্দ্রীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আসাদ ওমরও তাদের সফরসঙ্গী ছিলেন বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণুসমৃদ্ধ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৩৬ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হন ১৪২ জন।
সুত্র-যুগান্তর