চুয়াডাঙ্গার জেলার একমাত্র ভারী শিল্প কারখানা কেরু এ্যান্ড কোং বিকল্প হিসাবে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে দর্শনা কেরু এন্ড কোং এর উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির হ্যান্ড স্যানিটাইজার পাওয়া গেলেও সংকট দেখা দিয়েছে দর্শনা কেরু এন্ড কোং এর উৎপাদিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
কোম্পানির প্রচুর পরিমান মজুদ থাকা সত্বেও বাজারে মিলছে না এই স্যানিটাইজার। দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ডি আবু সাঈদ বলেন, নিয়মিত স্যানিটাইজার উৎপাদন করা হয় না। বিশেষ সময় উৎপাদন করে তা মজুদ করে রাখা হয়। সেটা শেষ হলে আবারো উৎপাদন করা হয়। বতমার্নে তাদের প্রচুর পরিমান মজুদ আছে কিন্তু বিক্রি খুবই কম।গত বছর করোনা শুরু হলে কেরু এন্ড কোং করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য উৎপাদন শুরু করে। যার মান যেমন ভালো তেমনি দাম ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় ব্যাপক বিক্রি হয়েছে।
কেরুর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো, সাহাবদ্দীন বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি স্যানিটাইজার উৎপাদন করছে। তারা নিয়মিত বাজারে বাজারে পৌছে দিয়ে আসছে। কিন্তু কেরু এন্ড কোং এর স্যানিটাইজার শুধু মাত্র তাদের সেলসেন্টার থেকে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। তাদের মার্কেটে পৌছে দেওয়ার মত কোন সুযোগ না থাকায় তাদের বিক্রি কুমে গেছে। বর্তমানে কেরু ও তাদের ঢাকা অফিসসহ বিভিন্ন সেল সেন্টার প্রচুর স্যানিটাইজার মজুদ রয়েছে। কিন্তু ক্রেতার সংখা খুবই কম।
তিনি আরো বলেন কেরুর উৎপাদিত ১০০ মিলি বোতলের বিক্রয় মূল্য মাত্র ৬০ টাকা যা অন্যান্য সব কোম্পানির তুলনায় কম।কেরু ্এ্যান্ড কোং গত বছর মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রায় ১.২ কোটি টাকা মুনাফা অর্জনে সক্ষম হয় শুধুমাত্র স্যানিটাইজার বিক্রয়ের মাধ্যমে।তবে ঐ সময়ের উৎপাদিত মাল মজুদ থাকায় বর্তমানে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে।
কেরুর স্যানিটাইজার মান ভালো দাম ও কম বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও রয়েছে। এ বিষয়ে কেরু এ্যান্ড কোম্পানির এ ডি এম প্রশাসন শেখ মোঃ সাহাবদ্দিন বলেন আমাদের স্যানিটাইজার এখনও ২ শ কাটুন মজুত আছে। আমাদের কাছে অর্ডার বা টাকা জমা দিলেই আমরা সাথে সাথে তাদের কে স্যানিটাইজার দেওয়া হয়।