কোটচাঁদপুরের মাঠ জুড়ে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। আমনে বাম্পার ফলনের আশা প্রকাশ করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী।
জানাযায়,গেল বোরো মৌসুমে কোটচাঁদপুরের কৃষকেরা দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ মৌসুমে অধিক পরিমান জমিতে আবাদ করেছেন আমন ধান। ধানে বাম্পার ফলনের আশাও করছেন তারা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোখে পড়ে কৃষকদের মাঠে ধান কাটার ব্যস্ততা। বাড়ির উঠানে চলছে ধান মাড়াইয়ের কাজ। এ কাজে বসে নেই গৃহিনীরাও। সোনার ফসল ঘরে তুলতে কাজ করছেন তারাও।
কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার ধানকাটা শ্রমিক আনারুল ইসলাম বলেন, এ এলাকার কৃষকরা ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন। তবে লেবার না পাওয়ায় চাষিরা বিপাকে রয়েছেন। অন্যদিকে আমরা রাত-দিন ধান কাটার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি। এ মৌসুমে আমাদের দম নেওয়ারও সময় নাই।
বহরমপুর গ্রামের কৃষক লিটন মিয়া জানান, চলতি আমন মৌসুমে ৭ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ আছে। ফলনও হয়েছে ভালো। এরই মধ্যে ক্ষেত থেকে ধান কাটা শুরু করা হয়েছে। বাজারে দাম ভালো পেলে অনেকটাই লাভবান হওয়া সম্ভব হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী বলেন, এ বছর এ উপজেলায় ৬ হাজার ১শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে আমন ধান। এ আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল, তা পুরন হয়েছে। এ বছর এ এলাকায়, স্বর্ন,বীরি-৪৯,৭১ ও ৭৫ জাতের ধান বেশি চাষ করছেন চাষিরা। এরমধ্যে স্বর্ণ ধানটা বেশি পরিমানে বেশি চাষ হয়েছে। এ বছর আমনে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি।