কোটচাঁদপুরের প্রবীন সাংবাদিক খোন্দকার শামসুজ্জামান (৬৫) মারা গেছে। তিনি ছিলেন,প্রেস ক্লাব কোটচাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। রবিবার গভীর রাতে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৃতের পরিবার।
জানা যায়, প্রবীন সাংবাদিক শামসুজ্জামান বেশ কিছু যাবত শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে অসুস্থ্য ছিলেন। গতকাল রবিবার রাতে হঠাৎ করে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় ওনার ছেলে আব্দুল্লাহ বাশার কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখে চিকিৎসা শুরুর আগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, প্রবীন এ সাংবাদিক। সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন,না ফেরার দেশে। মৃত্যুর সময় তিনি এক মেয়ে এক ছেলে,স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে প্রবীন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবরে সোমবার সকালে তাঁকে এক নজর দেখতে কোটচাঁদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডের খোন্দকার পাড়ার বাসায় ছুটে আসেন শত শত শুভাকাংক্ষি।
আজ সোমবার যোহর বাদ সরকারি কে,এম,এইচ ডিগ্রি কলেজ মাঠে মরহুমের জানাজার নামাজ শেষে সাংবাদিক খোন্দকার শামসুজ্জামানকে খোন্দকার পাড়ায় পারিবারিক করব স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
তিনি ছিলেন, প্রেস ক্লাব কোটচাঁদপুরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা,কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সহ সভাপতি,বাজেবামনদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সদস্য ও সভাপতি, কোটচাঁদপুর মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির প্রাক্তন সদস্য,ঢাকা আহসানিয়া মিশন পরিবেশ (আপস) এর মাস্টার ট্রেইনার।
সাংবাদিক শামসুজ্জামান কোটচাঁদপুর খোন্দকার পাড়ার মৃত রহমতউল্লার বড় ছেলে। তিনি ছিলেন,দৈনিক বীর জনতা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ বাশারের পিতা।
সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, কোটচাঁদপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি অশোক দে, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার,সহসভাপতি আব্দুল খালেক বিশ্বাস, যুগ্ন সম্পাদক মনোজ মালাকার, প্রচার সম্পাদক রাম জোয়াদ্দার,সদস্য আকিমুল ইসলাম, রোকুনুজ্জামানসহ শোক প্রকাশ করেছেন, সাংবাদিক মঈন উদ্দিন।