কে হচ্ছেন গাংনীর নতুন মেয়র। আওয়ামী লীগের আহম্মেদ নাকি স¦তন্ত্র আশরাফুল, নাকি বিএনপির বাবলু নাকি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হুরাইরা। এমন প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ।
১৬ জানুয়ারি, শনিবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে গাংনী পৌরসভা নির্বাচন। ৯ টি ওয়ার্ডের মোট ৯ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ দিকে গাংনী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর, অস্ত্র ছিনতাইসহ পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে প্রচার প্রচারণা। নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন, সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলী; ধানের শিষের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু; হাত পাখা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আবু হুরাইরা ও একমাত্র স¦তন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম লড়ছেন জগ প্রতীকে।
তবে আওয়ামী ও স¦তন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছে পৌরবাসী। ক্ষমাতসিন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলীর বিরুদ্ধে প্রচারণায় বাধাঁ দেওয়াসহ নানা ধরনের অভিযোগ এনে সতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম জানান, নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতে আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার উপর হামলা চালানো হয়েছে, আমার সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। প্রচারণা চলাকালিন গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলী বলেন, নির্বাচনে স¦তন্ত্র প্রার্থীর হার নিশ্চিত জেনে তিনি এসব ভুল বকছেন। নিজের লোক দিয়ে নাটক সাজিয়ে অন্যকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছেন।
এমন নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে পার হয়েছে প্রচারণার সময়। এখন অপেক্ষা পৌরপিতার নাম শোনার। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে আজ সন্ধ্যায় জানা যাবে নতুন মেয়রের নাম।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহীনির ততপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। জেলা পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী জানান, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশসহ দ্জুন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাতক্ষণিক অপরাধীকে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।