কোটচাঁদপুরের কুশনা বাওড় থেকে মাছ লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার সকালে ওই বাওড় থেকে মাছ লুট হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ওই ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন,সমিতির সভাপতি প্রশান্ত কুমার হালদার।
জানা যায়, গেল ২০১৮ সালে কোটচাঁদপুরের ফুলবাড়ি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি বাওড়টির ইজারা পান।এরপর থেকে তারা নির্বিগ্নে মাছ চাষ করে আসছিলেন বাওড়টিতে।
গেল ৫ আগষ্ট সরকার বদলের পর থেকে বাওড়ে প্রতিদিনই মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়। এরপর বাওড় থেকে আর কোন মাছ লুটের ঘটনা ঘটবে বলে আশ্বাস দেন নেতৃবৃন্দ। এরপরও শুক্রবার সকালে বাওড়ে মাছ ধরার সময় স্থানীয় এড়ান্দা গ্রামের কয়েকজন যুবক মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
যার মধ্যে ছিলেন, ওই গ্রামের আকবার আলীর ছেলে রকি,ইসাহাকের ছেলে মোশাররফ হোসেন, সলেমানের ছেলে সবুজ, এরশাদের ছেলে জিয়া ও কলম বিশ্বাসের ছেলে মহাসিন আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুশনা বাওড়ের গার্ড সাইফার রহমান ও প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল। তারা বলেন, সরকার পতনের পর থেকে এলাকার কিছু দূর্বৃত্তরা প্রায় বাওড়ে হুইল, ছিপ ও জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আজ শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে মহাসিন ও রকির নেতৃত্বে আবারও মাছ লুটের ঘটনা ঘটে। ওই দুই জনের মধ্যে মহাসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ও রকি বিএনপি সমর্থিত নেতা বলে জানা গেছে। ওই সময় তারা বাওড় থেকে ৫০ হাজার টাকার মাছ লুট করেছেন বলে দাবি বাওড় কতৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন,মহাসিন উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব ছিলেন। তবে বিএনপি কোন লুটপাটে বিশ্বাস করে না। এ কারনে সে দলের যেই হোক না কেন,তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই মন্তব্য করেন,উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ওই মাছ লুটের ঘটনায় দলের যেই জড়িত থাকুক না কেন,প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন,বাওড় থেকে কে বা কাহারা মাছ লুট করছেন। এমন খবর জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে তার আগে লুটকারীরা পালিয়ে যান। তাদের কাউকে দেখা যায়নি। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।