ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরের কলেজ স্ট্যাণ্ডে ঘন জনবসতি এলাকায় পৌর পুলিশ ফাঁড়ির প্রস্তাবনার জায়গার বিরোধীতা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী ।
মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কলেজ স্ট্যাণ্ড পাড়ার মৃত মশিয়ার রহমান চেয়ারম্যানের স্ত্রী সায়েমা রহমান এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। এসময় ৭নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরাফৎ হোসেন , ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী, নাছিরউদ্দীন , শাহাজাহান হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সভাপতি ফায়িম শাহারিয়ার, সেক্রেটারী ফায়ান তাহামিদ হৃদয়সহ এলাকার প্রায় ২০/২৫ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সায়েমা রহমান বলেন, নিকটে থানা বা পুলিশ ফাঁড়ি থাকা নিরাপত্তার জন্য অবশ্যয় ভালো। তবে যে জায়গায় পুলিশ ফাঁড়ি করার জন্য জমির মালিক পুলিশ প্রসাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের কাছে প্রস্তাব রেখেছেন আমরা এলাকার মানুষ হিসেবে তার বিরোধীতা করছি। কেননা এটা একটি ঘন জনবসতি এলাকা।
প্রস্তাবিত ওই জমির সামনে এবং পাশ দিয়ে যে রাস্তা গেছে তা অত্যন্ত সরু রাস্তা। সে রাস্তা দুটি দিয়ে দুটি ইজিবাইক চলাচল করতে সমস্যা হয়। অথচ ওই জায়গায় সরকারের একটি গুরুপূর্ণ ব্যস্ততম প্রতিষ্ঠান পৌর পুলিশ ফাঁড়ি হলে এলাকার মানুষের চলাচলে বিঘ্নের সৃষ্টি হবে। তাছাড়া প্রস্তাবিত ৪৯ শতক জমির মধ্যে এর আগে জমি মালিকদের এক ভাই ৮শতক জমি বিক্রি করেছেন। ওই জমি ফিরিয়ে নিয়ে ইতোমধ্যে অন্য দুই ভাই হকসেবা করে আদালতে টাকা জমা দিয়েছেন। সায়েমা রহমান বলেন -ওই জমি ফিরিয়ে নিয়ে একত্রে পুলিশ ফাঁড়ির জন্য বিক্রি করবেন বলে পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
এদিকে জমি মালিকদের তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই মুক্তার হোসেন বলেন- প্রায় আড়াই বছর আগে পুলিশ প্রসাশনের সাথে তাদের কথা হয়েছিল তারা জমি দেখে জমির পর্চাও নিয়ে যান। এর পরে তাদের আর কোন কথা হয়নি। তিনি বলেন এর মধ্যে তার মেঝে ভাই আক্তারুজ্জামান ৮শতক জমি বিক্রি করে দিয়েছেন।
ওই জমি ফিরিয়ে নিতে তারা ইতোমধ্যেই আদালতে টাকা জমা দিয়েছেন বলে জানান। তিনি চান ওই জমিতে পুলিশ ফাঁড়ি হোক। তিনি বলেন সম্পূর্ণ জমিটি একবারে বিক্রি হলে তারা সকলেই টাকা ভাগ করে নিতে পারবেন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, এক সময় জমির মালিকের সাথে কথা হয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন। তার পর থেকে আমাদের কাছে কোন দিক নির্দেশানা আসে নাই। সে কারণে ওখানেই পুলিশ ফাঁড়ি হবে কিনা এই বিষয়ে আমার জানা নেই।