ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজুর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দূর্ণীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ইউনিয়নের ৯ জন সদস্য (মেম্বার) চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ফলে বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। প্রশাসনিক ভাবে বিষয়টি তদন্ত হবে।
অভিযোগে উল্লেুখ করা হয় হয়েছে, ইউপি চেয়ারম্য্যান নজরুল ইসলাম নজু সরকারের দেয়া বিভিন্ন প্রকল্পের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ভুয়া ও মিথ্যা ভাউচার রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোন মাসিক সভা করেননি। পরিষদ সদস্যরা বারবার অনুরোধ করলেও তিনি নানা কৌশলে এড়িয়ে যান।
এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হয়নি। অভিযোগকারী সদস্যরা হলেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য জামেনা খাতুন, শাহানারা খাতুন, কুলসুম বেগম, সাধারণ সদস্য ফারুক হোসেন, রবিউল ইসলাম, বিপ্লব হোসেন, শরিফুল ইসলাম, মইদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম সহ ৯ জন সদস্য।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নজু জানান, মাত্র দু’মাস হয়েছে দায়িত্ব গ্রহন করেছি। এর মধ্যে নিয়ম মেনেই প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। যা কিছু করা হয়েছে রেজ্যুলেশন করেই।
তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কিছু মেম্বার বিভিন্ন প্রকার কার্ড করে দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের নিকট থেকে টাকা নেয়। ফলে আমি তাদেরকে বকাবকি করি। তারাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে এ সকল মিথ্যা অভিযোগ করেছে। যা সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।