প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছেন ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা তাইজুল ইসলাম। শনিবার রাত ৮ টায় ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দমদমা বাজারে। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, ২৮ আগস্ট কোটচাঁদপুর উপজেলার আশাননগর কুল্লা গাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে কয়েক দিন যাবৎ ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তাপ চলছিল। এ ঘটনা এরই বহির প্রকাশ বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ইউপি তাইজুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান মিজানুর খানের পক্ষে কাজ না করায়, তাঁর লোকজন আমাকে মেরে আহত করেছেন।
তিনি বলেন,শনিবার রাত ৮ সময় স্থানীয় দমদমা বাজারে মশিয়ারের চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় ওই দোকানে আসেন সাজ্জাদ হোসেন। সে এসে বলেন তুই নাকি আমাদের বিপক্ষে ভোট করছিস। এরমধ্যেই আরো ১০/১২ ওইস্থানে আসেন। ঘিরে ধরে আমাকে রড, হাতুড়ি দিয়ে মারতে থাকে।
পরে স্থানীয় এসে আমাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য গাড়িতে তোলেন। তারা আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ও বাধা সৃষ্টি করেন। পরে সার্কেল সাহেবের হস্তক্ষেপে আমি হাসপাতালে আসতে পারি। এ সময় ৮৫ হাজার টাকা, সোনার চেইন, তারা ছিনিয়ে নেন বলে দাবি ইউপি সদস্যের। তাইজুল ইসলাম এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য। এ ছাড়া তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। সে উপজেলার আশাননগর গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভির জামান বলেন,সারা শরিরে কালো ফুলা দাগ রয়েছে। চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি রাখা হয়েছে। এ ছাড়া হাতের এক্সরে করতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বলা যাবে কি অবস্থা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, ওই সময় রাউন্ডে ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তাইজুল নামের একজন বেঞ্চের উপর শুয়ে আছে। এ সময় কে মেরেছে জানতে চাইলে,বলেন,রাজিব,আক্তার,শিপলু সহ কয়েক জন মিলে মারপিট করেছে।
তিনি বলেন,জানতে পারলাম রবিবার একটা স্কুলের ম্যানেজিং কিমটির নির্বাচন রয়েছে। ওই নির্বাচন ঘিরে প্রতিপক্ষরা তাকে মারতে পারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।