অবশেষে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ সভাপতিকে মারপিটের ঘটনায় মামলা থানায় নথিভুক্ত হয়েছে। শনিবার কোটচাঁদপুর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। ওই মামলায় ১ জনকে আটক করেছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য ও এলাঙ্গী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ২৮ আগষ্ট ছিল আশাননগর কুল্লা গাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৭ আগষ্ট রাতে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই এলাকার ৭/৮ জন বেধড়ক মারপিট করে।
এতে করে আমি গুরুত্বর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে চাইলেও তারা বাধা দেন। পরে কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হই। ওখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আমাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তবে ওই ঘটনায় ২৮ আগষ্ট সকালে ১০ জনকে আসামি করে কোটচাঁদপুর থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু ওই সময় অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় না।
তবে কি কারনে নথিভূক্ত করা হয়নি,এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ঘটনার পর থেকে তাদের একটি পক্ষ মিমাংসা করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল। বিষয়টি মিমাংসা না হলে শুক্রবার রাতে ঘটনাটি নিয়ে আবারও কোটচাঁদপুর থানায় যায়। এ সময় থানা কর্মকর্তা মামলাটি নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।
শনিবার মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলার আসামিরা হলেন, রাজিব হোসেন,আক্তার হোসেন,সাজ্জাদ হোসেন,শিবলু জামান,স্বপন আলী, রবিউল ইসলাম, শরীফ হোসেন, আনিসুর রহমান ফুটান,রাহুল হোসেন,আমিরুল সর্দার,। এদের মধ্যে স্বপনকে আটক করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছেন। তাজুল ইসলাম কোটচাঁদপুর উপজেলার আশাননগর গ্রামের মৃত হবিবুর রহমানের ছেলে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন,ইউপি সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় থানায় এজাহার নামীয় ৮ আসামী করা হয়েছে। মামলা নাম্বার ৫,তারিখ -০৩-০৯-২২। ওই মামলায় ১ জন আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।