ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর শহরে এক রাতেই ৪ দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্র এ সময় ৪টি দোকান থেকে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
গতকাল রবিবার রাতে পৌর শহরের চৌগাছা বাসষ্ট্যান্ডের মুনিয়া ভ্যারাইটিস ষ্টোর, বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন এলাকায় খন্দকার ষ্টোর ও টেলিকম , হাইস্কুল রোড এলাকায় সোনালী প্রেস ও মেইন বাসষ্টান্ড এলাকায় সনি আবাসিক মার্কেটের নিলিমা ইলেকট্রনিক্সে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় সংঘবদ্ধ চোর চক্র দোকানের শাটার ও দেয়ালের ভেন্টিলেটার ভেঙ্গে চুরি করে পালিয়ে যায়। এদিকে কোটচাঁদপুর শহরে একের পর এক এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার না হওয়ায় হতাশ ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন সময়ে চুরির ঘটনায় ধরা ছোয়ার বাহিরে চক্রের সদস্যরা. অভিযোগ করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। ফলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের মাঝে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার দিনগত রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যায়। রবিবার সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসেই দেখতে পায় ক্যাশ বাক্স ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। চোর চক্র একই রাতে শহরের মুনিয়া ভ্যারাইটিস ষ্টোর, খন্দকার ষ্টোর ও টেলিকম, সোনালী প্রেস এবং নিলিমা ইলেকট্রনিক্সে চুরি সংঘটিত করে নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় সড়ক-বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি-ছিনতাই সংঘটিত হয়েছে। যার অধিকাংশ ঘটনা পৌর শহরের মধ্যে। এ সব ঘটনার কোন প্রতিকার না হওয়ায় এমন চুরি-ছিনতাই প্রায় ঘটছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় কোটচাঁদপুর পৌর ফাঁড়ী ইনচার্জ আক্তারুজ্জামান লিটনের সঙ্গে তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
একের পর এক চুরির ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, মনে হয় এরা পেশাদার চোর না। একটি কুচক্রি মহল আইন-শৃঙ্খলা অবনতি ও শহর উত্তপ্ত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে এমন চুরির ঘটনা ঘটাচ্ছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে শহরে নজরদারী ও টহল বাড়ানো হয়েছে। সেই সাথে চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।