মহামারী করোনা সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে দেশব্যাপী সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষনার প্রথম দিনে সক্রিয় ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায় সাধারণ মানুষের তেমন চলাচল নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ। মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল না থাকলেও শহরের মধ্যে মোটরসাইকেল ও ইজ্ঞিন চালিত যান চলাচল লক্ষ করা যায়। একদিকে প্রশাসনের নজরদারী অপরদিকে সকাল থেকেই থেমে থেমে আষাঢ়ের বৃষ্টিতে সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে দেখা যায়নি। অনেকে আবার বৃষ্টির মধ্যেই বের হয়েছেন প্রয়োজনীয় কাজ সারতে।
অন্যদিকে দিন মজুর, খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতে লকডাউন ও আষাঢ়ের বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হয়েছেন উপার্জনের আশায়। সরকার ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নির্দেশনা বাস্তবায়নে লকডাউন সফল করতে গণপরিবহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখা এবং অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়া, সেই সাথে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখাসহ মাস্ক পরিধানে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে প্রশাসন।
এসময় জনসাধারণের মধ্যে সচেতন করতে নির্দেশনা ও আইন অমান্যকারী অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জরিমানা করেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছাদুজ্জামান রিপন। এরই মধ্যে কিছু মানুষের মধ্যে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়। প্রশাসনের সচেতনতামূলক কোন কর্মসূচীই যেন পৌঁছাচ্ছে না এই সব মানুষের মধ্যে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অবাধে ব্যবসা চালিযে যাচ্ছেন। এমনকি মাস্ক ব্যবহারেও রয়েছে অনিহা। দেখে বুঝার উপাই নেই মহামারী করোনার থাবা পড়েছে এই দেশে।
এদের অনেকে প্রশাসনের হাতে ধরা পড়ে অনেক সময় গুনতে হচ্ছে জরিমানা। কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আছাদুজ্জামান রিপন জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ, সেনাবাহিনী, গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে করা হচ্ছে জরিমানা। তিনি বলেন, সবার আগে প্রথমে আমাদের নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে। নিজে বাঁচলে বাঁচবে তার পরিবার, রক্ষা পাবে দেশ ও জাতি।