ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সুন্দরী বেগম নামে ২সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এক বখাটে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের গালিবপুর দাসপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মোমিন আলীর স্ত্রী। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী ভুক্তভোগী পরিবারের।
ভুক্তভোগী সুন্দরী বেগম জানান, পাশের বাড়ির স্বপন নামে এক বখাটে আমাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হঠাত করে ঈদুল ফেতরের ৫দিন আগে আমার বাড়িতে এসে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে চলে যায়। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি ও আমার দুই শিশুর উচ্চ স্বরে কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আমার জ্ঞান ফেরায় এবং তারা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই সময় আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না।
সে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিল। পরে বুঝতে পারি আমার ডান হাত ভেঙ্গে গেছে। এরপর কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ দিতে যায় কিন্তু ওসি সাহেব আমার অভিযোগ নেয়নি। উপায় না পেয়ে এসপি অফিসে যায়। কিন্তু ওসি স্যার আমাকে এসপি অফিস থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করে এবং ওসি স্যার আমাকে বলে এসপি স্যারের কাছে কিছু বলার দরকার নেই তুমি ফিরে আসো তোমার মামলা নেওয়া হবে।
ওই সময় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ফোন করে আমাকে বলে কোন অভিযোগ বা মামলা করার দরকার নেই আমি তোমার ন্যায় বিচার করে দেব। চেয়ারম্যান ও ওসি স্যারের কথা অনুযায়ী ওই সময় আমি এসপি স্যারের সাথে দেখা না করে বাড়িতে চলে আসি। পরে বখাটে ও তার পরিবার গ্রামে প্রচার করেছে সুন্দরীর কাছে আমার ছেলে টাকা পাবে। পাওনা টাকা দীর্ঘদিন ধরে দিচ্ছে না বলে তাকে মারধোর করেছে। অপরদিকে আসামী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও একদিনও তাকে পুলিশ ধরতে আসেনি । পরে জানতে পেরেছি ওসি স্যার আমার মামলা দিয়েছে এবং আদালতে ওই মামলার চার্জসীটও দাখিল করে দিয়েছে।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান জানান,আমি বিচার করে দেওয়ার জন্য উভয় পক্ষ কে ডেকেছিলাম। সবার সম্মতিতে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ভুক্তভোগী নারী তার চিকিৎসার ব্যায় নিতে বলেন, কিন্তু ছেলে পক্ষ সে বিচার মানেনি। যেখানে ছেলে পক্ষ আমার বিচার মানলো না সেখানে আমার কিছু করার নেই। বিষয়টি নিয়ে ওসি মঈনুল ইসলাম জানান,আমি মামলা নিয়েছি এবং আদালতে চার্জসীট দাখিল করে দিয়েছি। এখন বিচার করবে আদালত। এখানে আমার আর কিছু করনিও নেই।