কোটচাঁদপুরে চলছে তীব্র তাপদহ আর গরম। অন্যদিকে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং। এতে করে ঝরে পড়ছে গাছের আম। ধানে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ। ব্যহত হতে পারে উৎপাদন,এমন আশংকা চাষিদের। তবে ইতোমধ্যে চাষিদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরন ও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ অব্যহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিবুল হাসান।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় এ বছর ধানের চাষ হয়েছে ৬ হাজার ১ শ ৫০ হেক্টর। তবে গেল বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে।
আর আমের চাষ হয়েছে ৭ শ হেক্টর জমিতে। গেল বছর উৎপাদন হয়েছিল ১২ হাজার ৬ শ মেট্রিক টন। এ উপজেলায় ১৭ শ টি বাগান রয়েছে। তবে সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে গেল বছরের তুলনায় বেশি উৎপাদন হবে বলে আশাও করেছেন।
উপজেলার তালসার গ্রামের চাষি সোহরাব হোসেন বলেন,তীব্র তাপদহ,গরমে এমনিতেই ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। এরপর কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎতের টানা লোডশেডিংয়ে চাষিররা দিশেহারা। ওই চাষি বলেন, তাপ আর গরম থাকলেও ক্ষেতে ঠিকমত সেচ দেওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতি হচ্ছিল না। এ লোডশেডিংয়ে কয়েকদিন ধরে ঠিকমত সেচ দেয়া যাচ্ছে না। এতে করে ধানের ডগা শুকিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে ব্লাষ্ট রোগ। যাতে উৎপাদন ব্যহত হতে পারে।
এ ছাড়া তাপ আর গরমে আমের গুটি লাল হয়ে ঝরে পড়ছে। তবে অন্য কোন ফসলে তেমন কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। এ সব বিষয় নিয়ে কৃষি অফিস ধানের জমিতে পানি রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আমের জমিতে সেচ ও গাছেও পানি স্প্রে করতে বলেছেন।
নারানবাড়িয়া গ্রামের ফয়েজ আহমেদ বলেন, এ তাপ আর গরমে আম ঝরে পড়ছে। ধানেও দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে করে উৎপাদন কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই চাষি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিবুল হাসান বলেন,তীব্র তাপদহ ও অনাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হতে পারে। তবে সব ধরনের ধানের ক্ষতি হবে না। মূলত যে ধানের ফুল রয়েছে, ওই সব ধানের সমস্যা হতে পারে।
এ ছাড়া ব্লাষ্ট রোগের প্রাদুভাব দেখা দিয়েছে। তবে তেমন বেশি না। মাত্র ১ হেক্টর ধানের জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা চাষিদের সচেতন করতে এলাকায় এলকায় লিফলেট বিতরন করা হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা বলেন,যে আবহাওয়ায় আম কিছু ঝরে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় পানি দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া অন্য কোন ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা আমার জানা নাই। এ ছাড়া কেউ অভিযোগ ও করেনি।
তবে বিদ্যুৎ নিয়ে চাষিদের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে, ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে চাষিরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেচ দিতে পারছে না। এ কারনে ধানে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুভাব দেখা দিতে পারে। এতে করে উৎপাদন ও কম হওয়ার আশংকা দেখা দিবে।