ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর-শ্বাশুড়ির নামে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন ছেলের বউ। (২৮ আগস্ট) বুধবার ওই মামলায় শ্বশুর আটক হলেও শ্বাশুড়ি পলাতক।
ভুক্তভোগী ছেলের বউ বলেন, গেল ১ বছর আগে মোস্তফা কামালের ছেলে রিয়াজের সাথে আমার বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে আমি স্বামীর সাথে আমার শশুর বাড়ীতে থাকতাম। আমার শশুর বিভিন্ন সময় আমাকে কু-প্রস্তাব দিতেন।
ঘটনার একদিন আগে আসামী হঠাৎ আমার শরীরের আপত্তিকর স্থানে হাত দেন। তখন আমি ঘটনার বিষয়টি আমার স্বামীকে জানাই। তারা আমার কথা বিশ্বাস না করে, আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আমাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
তিনি বলেন, গেল শুক্রবার ২৩/০৮/২০২৪ তারিখ সকালে আমার স্বামী ও শ্বাশুড়ি কোটচাঁদপুরের কাগমারী গ্রামে বেড়াতে যান। ওই রাতে এশার নামাজ পড়ে অনুমান ৯ টার আমি আমার শোবার ঘরে ঘুমাতে যায়। এ সময় মোস্তফা কামাল আমার ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর আমাকে ঘুমন্ত অবস্থায় জড়িয়ে ধরলে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন আমি চিৎকার করতে গেলে আসামী মোস্তফা কামাল গামছা দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরেন। পরে আমার পরিহিত পায়জামা, সেলোয়ার খুলে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ছেলের বউ অভিযোগ করে বলেন, এ সব ঘটনা আমার শ্বাশুড়ি সব জানতেন। তিনি এ কাজে সহযোগিতা করেছেন।
ওই ঘটনায় গেল ২৪ তারিখ ছেলের বউ বাদি হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় শ্বশুর ও শ্বাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ করেন। এরমধ্যে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) শ্বশুর মোস্তফা কামালকে আটক করেছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ। তবে আটক করতে পারেনি শ্বাশুড়ি রাবেয়া খাতুনকে। ধর্ষক মোস্তফা কামাল কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের গরসূতি গ্রামের গুলি খাঁর ছেলে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল-মামুন বলেন, ধর্ষন মামলা হয়েছে। ওই মামলায় স্বামী- স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে স্বামী মোস্তফা কামালকে আটক করা হয়েছে। বাকি ১ জনকে ধরতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই আসামি ধরা পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।