জমি নিয়ে বিবাদে প্রতিপক্ষরা কেটে সাবাড় করেছেন কৃষকের এক বিঘা ধরন্ত শিমের ক্ষেত। ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর মকছেদ মোড় সংলগ্ন মাঠে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানায় গতকাল শুক্রবার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক।
ভুক্তভোগী কৃষক গোলাম হোসেন বলেন,দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে আমি জমিটি ভোগ দখল করে আসছি। এর পরিবর্তে তারাও একটা জমি দখল করে খাচ্ছেন। এখন এই জমির দাম বেড়ে যাওয়ায়, তারা দখল নিতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে তারা আমাকে আমার শীমের ক্ষেত থেকে জোর পূর্বক ধরে নিয়ে মকছেদ মোড়ে যায়।
এরপর আমাকে লোহার বড় ও বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিঠিয়ে জখম করেন। পরে আমি স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার হয়ে হাসপাতালে যায়। তিনি বলেন,প্রতিপক্ষরা আমাকে পিটিয়ে শান্ত থাকেননি। তারা ওই জমি দখল নিতে জমিতে থাকা শীম গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছেন। আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন শীমের মাচায় থাকা বাশ, দড়ি, লতায়। এরপর শুক্রবার রাতের অন্ধকারে ট্র্যাক্টর দিয়ে চাষ করেছেন ওই জমি। বিষয় নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় ৪ জনের নামে অভিযোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ওই কৃষক।
অন্যদিকে নজরুল ইসলাম ও তাজুল ইসলাম জমি ট্র্যাক্টর দিয়ে চাষ করে দেবার কথা স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছেন মারপিট করা ও শীম গাছ কেটে দেয়ার বিষয়টি। তারা বলেন, শীম গাছ তারাই কেটে দিয়েছেন। আর পাশের গরু ছাগলে কিছু নস্ট করেছেন। আর আমরা তাদেরকে মারধর করিনি, বরং তারাই আমাদের মারপিট করেছেন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহ উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কুদ্দুস আলী বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের কিছু করার নাই। তবে যে মারামারির ঘটনায় আইনগত যা হয় সেটা করা হবে। আজ বিকেলে ঘটনাটি নিয়ে বসার কথা আছে। দেখা যাক কি দিয়ে কি করা যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যা পাওয়া গেল সেটা হচ্ছে, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের নিজেদের ঝামেলা দীর্ঘদিনের। ঘটনাটি নিয়ে বেশ কয়েক বার বিচার সালিশও হয়েছে।