নিয়োগ পরিক্ষার আগেই নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কোটচাঁদপুরের মফেজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী সৌরভ ইসলাম। পরিক্ষায় যে প্রথম হবে,তাকে চাকুরী দেয়া হবে বললেন সভাপতি।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী মফেজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে শূন্য ও সৃষ্ট পদে কয়েক জন বল নিয়োগ দেয়া হবে। এ জন্য গেল ৭ মার্চ দৈনিক নবচিত্র সহ ঢাকার একটি দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর,অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী,পরিছন্নতা কর্মী। এ সব পদের জন্য ৫২ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।
যার মধ্যে রয়েছে সৌরভ ইসলাম। তিনি এলাঙ্গী গাজী পাড়ার বাসিন্দা। তিনি আবেদন করেছেন নিরাপত্তা কর্মীর পদে। তিনি বলেন,মফেজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আমার গ্রামের প্রতিষ্ঠান। এ জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল নিয়োগ পরিক্ষার মাধ্যমে হবে। পরিক্ষা ভাল হলে,তাঁর চাতুরী হবে। এখন দেখি চাকুরী হবে টাকার বিনিময়ে। বিষয়টি জানার পর আমি হতাশ হয়েছি। এখানে নিয়োগের আগেই নিয়োগ বানিজ্য হচ্ছে।
তিনি বলেন, যার বেশ কয়েকটি প্রমানও রয়েছে আমার কাছে। এ কারনে নিয়োগ ফ্রি ও ফেয়ার করার দাবীতে ও অর্থ বানিজ্য রুখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছি। তিনি এ নিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন বলেন,৫ টি পদে নিয়োগ আছে। যার মধ্যে প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর,অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা কর্মী,পরিছন্নতা কর্মী। এ সব পদের জন্য ৫২ জনকে ইন্টারভিউ কার্ড দেয়া হয়েছে।
এ নিয়োগে কোন টাকার লেনদেন হচ্ছে না। টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নাই। পরিক্ষায় প্রথম হলে তাকেই চাকুরী দেয়া হবে দাবী প্রধান শিক্ষকের। নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট।
একই কথা বললেন,মফেজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জিহাদ খান। তিনি বলেন,নিয়োগ পরিক্ষায় যে প্রথম হবে,তাকেই নিয়োগ দেয়া হবে। টাকা নিয়ে নিয়োগ দেয়ার কোন সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আর আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,আবেদন করেছেন কিনা আমার জানা নাই। আমি জেলার মিটিংয়ে আছি।