স্ত্রীর উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় পিতা-মাতা আর ছোট ভাইয়ের লাটির আঘাতে জীবন গেল রেজাউল ইসলামের (২৪)। গতকাল সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর গ্রামে। ওইদিন রাতে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। ওই ঘটনায় মা সালেহাকে আটক করেছেন কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুল আলম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চৌগাছার বড়খানপুর গ্রামের ঢাকা পাড়ার বাসিন্দা আয়তাল হোসেন (৬০)। পারিবারিক কলহের কারনে বড় দুই ছেলে বাবা- মা থেকে আলাদা সংসারে বসবাস করতেন রেজাউল ইসলাম।
রেজাউল ইসলাম বিয়ের পর থেকে মা সালেহা স্ত্রী সুমি আক্তারের উপরে নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন করতেন।গতকাল সোমবার সকালে মা সালেহা বেগমের অত্যাচার নির্যাতনের প্রতিবাদ করেন ছেলে রেজাউল।
এতে করে কলহে জড়িয়ে পড়েন তারা। এক পর্যায়ে পিতা আয়তাল হোসেন ও ছোট ছেলে মনির রেজাউলকে ধরে রাখেন। আর মা সালেহা বেগম রেজাউলের শরিরের বিভিন্ন স্থানে শক্তলাঠি দিয়ে মারপিট করে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন রেজাউল ইসলাম।
এ সময় স্ত্রী সুমি গ্রাম্য ডাক্তার ডেকে আনলে চিকিৎসায় বাধা দেন তারা। এরপর সময় যত যেতে থাকে অবস্থার অবনতি হয় রেজাউলের। পরে রাত ১০ টার দিকে অবস্থা খারাপ দেখে স্ত্রী সুমি আক্তার স্থানীয়দের সহযোগীতায় স্বামী রেজাউলকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সে।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজিয়া সুলতানা (ডানা) বলেন,রোগী ভর্তি করা হয়েছিল। কি কারনে ভর্তি করেছিলাম । আর রোগী কেমন ছিল সেটা খাতায় লেখা আছে দেখে নেন।
এ দিকে ওই ঘটনায় মা সালেহাকে আটক করেছেন বলে জানিয়েছেন কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের কারনে এ হত্যা কান্ড ঘটেছে। মৃত দেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বিষয়টি চৌগাছা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে, ওনারা এসে মৃত দেহ ও আটককৃত সাহেলাকে নিয়ে যাবেন।
চৌগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ওই ঘটনায় কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।