মামলা দিয়ে হয়রানি ও হুমকি – ধামকির প্রতিবাদে কোটচাঁদপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিক্ষকতা করে সমাজে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে চেয়েছিলাম। সেই আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে এসেছিলাম।
কিন্তু কালের পরিবর্তনে আমার সে আশা পূরণ হয়নি।এর পরিবর্তে জুটেছে বিভিন্নভাবে লাঞ্চনা। হতে হয়েছে মামলার স্বীকার।
তিনি বলেন, আমি ২০১১ সালে কোটচাদপুর পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডে বর্তমান বিএনপি’র উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী সাহেবের বাড়ির পাশে ৫.১৪ শতক জমি কিনে ছিলাম। এরমধ্যে ৩ শতকের উপর ভবন করা হয়েছে। বাকী ২.১৪ শতক খালি পড়ে আছে। ওই জমি কেনার পর থেকে বিএনপি’র ওই নেতার সঙ্গে চলে আসছিল ঝামেলা। বিষয়টি নিয়ে মোঃ লিয়াকত আলী আমার বিরুদ্ধে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করেছেন।
এ ছাড়া তিনি ও তাঁর অনুসারীরা বিভিন্ন সময় আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দেন। এর ধারাবাহিকতায় গেল ৫ আগষ্ট ওই নেতা তাঁর সমর্থিত লোকজন দিয়ে আমাকে মারপিট করান। ওইদিন যদি এলাকার মানুষেরা আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা না করতেন, তাহলে সেদিন ওরা আমাকে মেরে ফেলতেন।
শিক্ষক খায়রুল ইসলাম আরো বলেন, তারা আমাকে এভাবে হয়রানি আর নির্যাতন করে ওই জমি থেকে উৎখাত করতে চান। এটা না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছি।
এ কারনে আমি আপনাদের মাধ্যমে উক্ত ঘটনাটি সমাজের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই। জানাতে চাই বিএনপির নীতি নির্ধারক কর্মকর্তাদের। যাতে করে আমি ওই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রান পেয়ে সমাজে থাকতে পারি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ লিয়াকত আলী বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ছড়ানো মিথ্যা প্রপাকান্ড। ষড়যন্ত্রকারিরা আমার বিরুদ্ধে তাদের কে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের নিকট।