ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মটর সাইকেল চোর চক্রের এক সদস্যকে ধরে পুলিশে সৌপর্দ করলেন জনতা।
শনিবার রাতে কোটচাঁদপুরের গাবতলা পাড়া থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাবার সময় ধরা পড়েন ওই চোর। পরে তাঁর স্বীকারাক্তি মোতাবেক অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা,মটর সাইকেল ও চুরির কাজে ব্যবহারিত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
জানা যায়,শনিবার রাত ৯ টার সময় কোটচাঁদপুরের গাবতলা পাড়ার শাহিনের কালো রংয়ের পালসার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাবার সময় স্থানীয় জনতা তাকে ধাওয়া দেন। এ সময় সে মটর সাইকেল ফেলে রেখে পালানোর চেষ্টা করে।
স্থানীয় জনতা তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরে ফেলেন। আটকৃতের নাম রাসেল হোসেন (২৬)। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গোবরগাড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন। এ খবরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এ সময় রাসেল ওরফে শাহিন বলেন,আনিস আমার চাচাত ভাই। সে ঝিনাইদহের পাগলা কানা এলাকার সেকেন্দার মোল্ল্যার ছেলে। সে এ চোর চক্রের মূল হোতা। এ কাজের সঙ্গে অপু ও শামীম নামের আরো দুই জন ছিল।
পরে পুলিশ তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কোটচাঁদপুরের কাগমারি গ্রামে আনিসের শ্বশুর সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালান কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক আয়ুব হোসেন।
এ সময় ১ টি ফোর ভি মোটরসাইকেল,নগদ ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা ও চুরি করার কাজে ব্যবহারিত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেন।
উল্লেখ্য, গেল ১৪ আগষ্ট শনিবার রাতে পৌরসভার কাশিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন বিশুর আলমসাধু চুরি করে পালাচ্ছিল চোর। ওইদিনও জনতার হাতে ধরা পড়েন আলমসাধু চোর। পরে পুলিশে সৌপর্দ করেন স্থানীয় জনতা।
এদিকে চোর চক্রের সদস্যরা ধরা পড়লেও মূল হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এতে করে আতংক কাটছে না ভুক্তভোগীদের। পলাতকদের ধরে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ডিউটি উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, ওই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। কি কি উদ্ধার হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন,এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। যিনি ধরেছেন তিনি বলতে পারবেন।