পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর থানায় এজাহার করার ১১ দিন পার হয়ে গেলে ও মামলা নথিভুক্ত হয়নি আজও। এদিকে মাটি কেটে বিক্রি করা অব্যহত রেখেছেন মাটি ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে জনমনে এখন প্রশ্ন কে বড় মাটি ব্যবসায়ী না প্রশাসন।
কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়ন (ভুমি) সহকারী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, উপজেলার ভোমরা ডাঙ্গা – চুয়াডাঙ্গা বাজারের পাশের হারুন অর রশিদের পুকুর ও সোয়াদি গ্রামের আনিসুর রহমানের পুকুর থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কেটে বিক্রি করে আসছিল।
বিষয়টি নিয়ে তাদের বেশ কয়েক বার সর্তক করার পরও তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা অব্যহত রেখেছিল। এ কারনে গেল ২১ জুলাই পুকুর থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে কোটচাঁদপুর থানায় পৃথক দুইটি এজাহার করা হয়েছে। এজাহারে আসামি করা হয়েছে তেঘরি গ্রামের পুকুর মালিক হারুন অর রশিদ, মাটি কাটার সহযোগী আব্দুর রহিম, শাহিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, কায়দার আলী, আব্দার আলী, সোয়াদি গ্রামের পুকুর মালিক আনিসুন রহমান, সহযোগী পারভেজ হোসেন ও মনা বিশ্বাস।
তিনি বলেন,থানায় এজাহার করার ১০ দিন পার হয়ে গেলেও আজও নথিভুক্ত হয়নি এজাহার দুইটি। তবে এজাহারটি কেন নথিভুক্ত হয়নি সেটা আমার জানা নাই।
তিনি আরো বলেন, আমি থানায় এজাহার দিয়ে তাঁর রিসিভ কপি নিয়ে এসেছি। এজাহার করার পরও মাটি কেটে বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার মনে হয় থানার সঙ্গে তাদের কোন চুক্তি আছে। তা না হলে তারা মাটি কাটার সাহস কোথা থেকে পান প্রশ্ন ওই কর্তার মনেও।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যেও একই প্রশ্ন দেখা দিয়েছেন। তারা জানতে চান কে বড় মাটি ব্যবসায়ী না প্রশাসন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামুন বলেন,মাসের শেষের দিকে মামলা নথিভুক্ত করলে একটু চাপ পড়ে যায় আমাদের। কারন নতুন যতগুলো মামলা নথিভুক্ত করা হবে, ততোগুলো মামলা শেষ করতে হয়। এ কারনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি। আগামী মাসের ১ তারিখে এ মামলাটি নথিভূক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,মাটি কাটার বিষয়টি নিয়ে থানায় সংশ্লিষ্ট নায়েব এজাহার করেছেন। আপনারা ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন।