কোটচাঁদপুরে কাঠ বয়লার মেশিন বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিককে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি। গত বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কমিটির সদস্যরা। জানা যায়,গেল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার সময় বিস্ফোরন ঘটে কাঠ বয়লার করা মেশিনটি। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান দুই কাঠ শ্রমিক। আহত হন আরো এক শ্রমিক।
ক্ষতিগ্রস্থ্য হন পাশের জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের বাড়ির প্রাচীর,ল্যাট্রিন ও হাকিমের ইজিবাইক।
ওই ঘটনায় গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিক কে। কমিটির অন্য তিন সদস্যের মধ্যে রয়েছে,জেলা পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি কোটচাঁদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস,উপমহাপরিদর্শক কলকারখানা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও উপসহকারী পরিচালক ফায়ার সার্ভিস ঝিনাইদহের আব্দুস সালাম। মঙ্গলবার ওই কমিটির সদস্য তদন্তে আসেন কোটচাঁদপুরে। তদন্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, কমিটির প্রধান ও ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম সিদ্দিক বলেন,
,ঘটনাটি তদন্তে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে প্রাথমিক ভাবে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দেখা গেছে মেশিন মালিকের কোন লাইসেন্স নাই। তিনি শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন। যে ট্রেড লাইসেন্স আমরা পেয়েছি সেটারও মেযাদ নাই। এ ছাড়া ওই মেশিন বসানোর কোন অনুমতিই নাই মিজানুর রহমানের। তিনি পুরাতন মেশিন বসিয়ে মঙ্গলবারই কাজ শুরু করেছিলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এ ধরনের মেশিন চালাতে হলে টেকনোলজিষ্ট প্রয়োজন হয়। তা তিনি রাখেননি।তিনি নিজেই মালিক, অপারেটর,ও টেকনোলজিষ্ট। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি পালিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমত ওনার নামে কলকারখানা আইনে মামলা হবে। এরপর ওনান পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড় পত্র নেননি। পরিবেশ অধিদপ্তরও একটা মামলা করতে পারেন। এ ছাড়া আর কেউ কোন মামলা করবেন কিনা সেটা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত শেষে আরো বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। মিজানুর রহমান (মিজান) ওই মেশিনের মালিক। তিনি কোটচাঁদপুর পারলাট গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
ঘটনার পর থেকে তিনি আত্ম গোপনে রয়েছে। ১০ বছর হল তিনি আর্দশপাড়ার মিন্টু মিয়ার জায়গা ভাড়া নিয়ে কাঠের গোলা করেন। গেল সপ্তাহে নিয়ে আসেন কাঠ বয়লার মেশিনটি। সব প্রস্তুতি শেষ করে মঙ্গলবার কাজ শুরু করেন মিজানুর রহমান।