কোটচাঁদপুরে ইউপি সদস্য কর্তৃক সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে।
গত ১ নভেম্বর কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের হালদার পাড়ার মদনের স্ত্রী যশোধা রানী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে কোটচাঁদপুর মডেল থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয় গত ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বলুহর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সাহাবুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪/৫ জন লোক জোটবদ্ধ হয়ে জোর পূর্বক বসত বাড়িতে ঢুকে বাদির স্বামী সাধন কুমার ও তার একমাত্র ছেলে পলাশ কুমারকে মারপিট করে। এ সময় ইউপি সদস্য সাহাবুল তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে যশোদা রানীকে জখম করে। হামলাকারীরা বাদীর পরনের কাপড়-চোপড় টেনে হেছড়ে বে-আবরু করে। সে সময় আসামীরা বাদীর গলায় থাকা ১০ আনা ওজনের সোনার চেইন, ঘরে থাকা ১ জোড়া বালা, ১ জোড়া কানের দুল ও ১টি আংটি নিয়ে যায়।
মামলায় অভিযুক্ত ২নং আসামী বাবুল ঘরের বাক্সে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা বের করে নেয়। এ ঘটনার পর গত ৩ নভেম্বর যশোদা রানী ইউপি সদস্য সাহাবুলের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার চেয়ে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক ও কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যশোদা রানীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর সকালে আমার বিবাহিত মেয়ে পিংকি রানীকে ইউপি সদস্য সাহাবুল মারপিট করে। তাছাড়া এ ইউপি সদস্য দীর্ঘদিন ধরে আমাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় আমাকে, আমার স্বামী ও ছেলেকে মারধর করে।
এ ঘটনার পর গত ৩ নভেম্বর রাতের কোন এক সময় সাহাবুল মেম্বারের লোকজন আমার ছেলে পলাশের আলমসাধুর ইঞ্জিনের মবিল চেম্বারে বালি দিয়ে দেয়। পরদিন সকালে আলমসাধু চালু করে কিছুদুর যাওয়ার পর বিকট শব্দ বিস্ফোরণ হয়।
যশোদা রানী বলেন এনজিও থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে এ আলমসাধুটি কেনা হয়েছে। এটি বিকল হওয়ার কারণে এনজিও’র কিস্তির টাকা যোগাড় করা আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ইউপি সদস্য সাহাবুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি যশোদা রানীকে মারধর কিংবা শ্লীলতাহানি করিনি। তবে যশোদার সহযোগী শফিকুল দালালকে মারধর করেছি। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করা হয়েছে তা আদৌ সত্য নয়।