কোটচাঁদপুরে সড়কের পাশে নবজাতক শিশু পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে কোটচাঁদপুর- তালসার সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় বাচ্চাটি। শিশুটি কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, সোনিয়া খাতুন ও জিনিয়া খাতুন দুই বোন। বৃহস্পতিবার প্রতিদিনের মত সকালে হাটতে বের হয় সড়কে। কিছু দুর যাবার পর কাপড়ে জড়ানো অবস্থায় চোখে পড়ে বাচ্চাটি। এরপর সোনিয়া কোলে তুলে নেন,ওই নবজাতকটি।
তিনি বলেন,বাচ্চাটি দেখে মনে হচ্ছে,একদিনের বাচ্চা। তাকে পাওয়ার পর অবস্থা একটু খারাপ ছিল। এখন বাচ্চাটি ভাল বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর শতশত মানুষের ভীড় জমে বাচ্চাটি দেখার জন্য সোনিয়ার বাড়িতে।
এদিকে বাচ্চাটির স্বাস্থ্যের অবস্থা জানতে,তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন সোনিয়া। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বাচ্চাটি দেখে,ভাল আছে বলে জানান। এরপর তারা বাচ্চাটি নিয়ে বাসায় চলে যান। তবে আইনগত সমস্যার কারনে, বাচ্চাটিকে আবারও কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন তারা।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন। তবে বাচ্চাটি না পেয়ে ওই পরিবারটিকে আবারও স্বাস্থ্য নিয়ে এসে ভর্তি রাখার কথা জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তারুনী পাশা বলেন, বাচ্চাটি তারা নিয়ে আসেন। এরপর দেখে তাদেরকে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়া হয়। তারা ভর্তি না করে বাড়িতে নিয়ে যান। তবে ওই নবজাতকটি সুস্থ্য আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সমাজ সেবা কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন,উপজেলায় শিশু কল্যান বোর্ড আছে। বাচ্চাটি কাউকে নিতে হলে ওই বোর্ডে আবেদন করেন,আইন মেনে নিতে হবে। যারা বাচ্চাটি পেয়েছেন, তারা ইচ্ছে করলেই রাখতে পারবেন না।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে বলেন,এই বাচ্চাটি নিতে হলে,আইনগত ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে নিতে হবে।