ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কোন প্রকার প্রতিকূলতা ছাড়ায় একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে । এ যেন আলাদিনের চেরাগের মত, নেই কোন বাধা, পড়েনা ধরা, হয় না জেল জরিমানা । সল্প সময়ে অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা চুরি করছেন প্রয়োজনীয় ও শখের এই যানটি।
ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি কিংবা অভিযোগ এমনকি মামলা করেও মিলছে না কোন প্রতিকার। বিপরীতে ভুক্তভোগীদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ, সাংবাদিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না সংঘবদ্ধ এই চক্রের হাত থেকে। বাড়ি কিংবা অফিস, বাজার সব খানেই চক্রের এই সদস্যদের বিচরণ। শুধুমাত্র রাতের আঁধারেই না, দিনের আলোতেও জনসম্মুখে চলছে এ চক্রের সদস্যদের হানা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে কোটচাঁদপুর কলেজ বাসস্ট্যান্ডের ন্যাশনাল কম্পিউটারের পাশ থেকে প্রাইভেট পড়ার সময় মুনতাসির ছুয়াগ নামের এক ছাত্রের একটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। এর আগে একই স্থান থেকে ওই কম্পিউটার সেন্টারে আসা জনৈক ব্যক্তির চুরি হয় একটি বাইসাইকেল।
গেল আগষ্ট মাসে মামুনশিয়া গ্রামের নয়ন ও কাগমারী গ্রামের শুভ নামের দুই যুবকের মোবাইল ছিনতাই হয়।
১০ সেপ্টেম্বর ছিনতাইয়ের শিকার হন সলেমানপুরের এক গৃহবধু। ২ নভেম্বর তালসার-কোটচাঁদপুর রাস্তা থেকে ছিনতাই হয় এক গৃহবধুর গলার চেইন। ১৫ নভেম্বর টি এন্ড টি অফিসের সামনে থেকে এক পথচারী মহিলার এবং তার কিছুদিন আগে টি এন্ড টি পাড়ার সলেমানের মেয়ে ছোয়ার গলার চেইন ছিনতাই হয়।
এ সব ছিনতাইয়ের বেশির ভাগ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে মোটরসাইকেলে করে। যার অধিকাংশ হয়েছে পৌর শহরের মধ্যে। এদিকে এ সব ঘটনার কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের বিষয় নিয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে।