পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, কুশনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম। শনিবার কোটচাঁদপুরের বলুহর স্ট্যান্ডের একটি কক্ষে এ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, কুশনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা কে এম হেলারিং, কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ও শ্রমিকলীগ নেতা নাসির উদ্দীন।
তিনি বলেন কুশনা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। গেল ২০১৪ সালে তাঁর পিতা জোনাব আলী মাস্টারকে শেরখালী মোড়ে কে বা কাহারা গুলি করে হত্যা করেন। ওই ঘটনার মামলায় তিনি আমাকে আসামি করেন। মামলাটি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
সম্প্রতি তিনি মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার মানসে,আমার ছেলের ফেসবুকে করা একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করেন। জিডিতে তিনি তাঁর প্রাণ নাশের হুমকি ধামকি কথা উল্লেখ করেছেন। ঘটনাটি নিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদ প্রকাশের পর তিনি আমি ও আমার পরিবার নিয়ে যে নীল নকশা করছেন। তাঁর প্রতিবাদে আমি ও তাদের নামে কোটচাঁদপুর থানায় একটি জিডি করেছি। জিডি নাম্বার-৬০৬, তারিখঃ ১৩-০৩-২৪।
রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি যে ষড়যন্ত্রের নীল নকশা করছেন। তাঁর এ নীল নকশা উন্মোচনের জন্য আজ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আমি চাই এ সংবাদটি আপনারা আপনাদের সু-নাম ধন্য পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, ওই সময় তারা আমাকে না পেয়ে নিরিহ মানুষ আমার পিতাকে হত্যা করান। সেই থেকে আমি তাদের ভয়ে ১০ বছর বাড়ি ছেড়ে কোটচাঁদপুর ভাড়ার বাসায় থাকতাম।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও আমার পিতার হত্যা মামলার শুনানি হয় গেল ৬ মার্চ। এরপর থেকে তারা আমার উপর বিভিন্ন প্রকার
হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানায় জিডি করেছি। এ কারনে তারা আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে থানায় আমার ও আমার স্ত্রী নামে মিথ্যা জিডি করেছেন। এখন মামলাটি ভিন্ন খাতে নিতে ষড়যন্ত্র করছেন। সত্য ঘটনা পত্রিকায় তুলে ধরায়, তা ধামা চাপা দিতে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তারা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন আব্দুল হান্নান।