গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার সময় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন গৃহবধূ সালমা খাতুন (২৭) আর শুক্রবার সকালে কোটচাঁদপুরে পল্লীর বাড়ির পাশের পানের ক্ষেতে খোঁজ মিললো গৃহ বধূর মৃত দেহ। খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ গৃহবধুর মৃত দেহ উদ্ধার করেছেন।
জানা যায়,গেল ২০ বছর আগে তরিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় আমার বোন সালমা খাতুনের। দুই ছেলে মেয়ের জনক তারা। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৭ টা বাজে। এ সময় আমার বোন সালমার মেয়ে মোবাইল করে বলেন, তোমাদের বোন কার সঙ্গে চলে গেছে। সে সময় থেকে আমরা চিন্তিত ছিলাম। রাতে ভাল করে ঘুমও হয়নি আমাদের। শুক্রবার সকালে জানতে পারি সালমার মৃত্যুর খবর।
কমলা অভিযোগ তুলে বলেন,আমার বোনাই তরিকুল ইসলাম তাকে মেরে ফেলেছেন। বিয়ের পর থেকে বোনাই বোনকে অত্যাচার করেন। কয়েক দিন আগে ও বোন কে মারার জন্য সারা পাড়া দৌড় করিয়েছেন। আমরা তাঁর বিচার চায়। সালমা খাতুন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডের খলসি গ্রামের মৃত হায়দার আলীর মেয়ে।
স্বামী তরিকুল ইসলাম বলেন,বিকেলে ছেলেকে নিয়ে বাজারে গিয়ে ছিলাম। এরপর রাত ৮ টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি এসে জানতে পারলাম সে বাড়ি নাই। সে সময় আশে পাশে খোজ করি। কিন্তু না পেয়ে বাসায় ফিরে আসি।
তিনি বলেন,আমার সন্দেহ ছিল সালমা কারোর সঙ্গে চলে গেছে। কারন আমি জানতাম সে বারবাজারের একজনের সঙ্গে কথা বলেন। সে মোতাবেক শুক্রবার সকাল তাকে খোঁজ করতে বের হই বাড়ি থেকে । পরে বেলা ১১ টার সময় মোবালের মাধ্যমে জানতে পারি তাঁর মৃত্যুর সংবাদ।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর সার্কেলের (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার মুন্না মিয়া বলেন,দেখে তেমন কিছু বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এটা কি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে কিসে যেন তাঁর নাক ও কান খেয়ে গেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। পুলিশ তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে জন্য কোটচাঁদপুর থানায় নিয়ে এসেছেন।
এ দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী তরিকুল ইসলাম কে থানায় আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোটচাঁদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) সৈয়দ আল- মামন।