প্রকৌশলী কর্তৃক পৌরসভার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১১টায় পৌর ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।
কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় পৌর সচিব এনামুল হক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর জনস্বার্থ ও সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে পৌরভবন, রোড লাইট, পানি সরবরাহসহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করতে পূর্বের মেয়রদের আমলের বকেয়া বিল বাবদ ২ কোট ৯০ লক্ষ ৭০ হাজার ৭’শ ১৩ টাকার মধ্য থেকে ২৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২’শ ১০ টাকা বকেয়া পরিশোধ করি। পরবর্তীতে আমরা প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে গত ২১ সালের মে মাস থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৩৯ লক্ষ ২৮ হাজার ১০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিয়েছি। আমার পরিষদের সময়কালীন কোন বিল বকেয়া up।
স্থানীয় আবাসিক প্রকৌশলী বকেয়া বিল আদায়ের ব্যাপারে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষনিক ২ লক্ষ টাকা ও প্রতিমাসে বিলের সাথে ১ লক্ষ টাকা বকেয়া সমন্বয়ের প্রস্তাব দিই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আবাসিক প্রকৌশলী আমাদের সাথে কোন পরামর্শ না করেই গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর পৌর এলাকার ২টি রোড লাইট ও পানির পাম্পের ৩টি লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে পৌরবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রক্রিয়ার সৃষ্টি করে। পৌর মেয়র বলেন, সাবেক মেয়রদের সময়ে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বকেয়া আদায়ে তৎপর না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এ অবস্থা উত্তোরনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর আবাসিক প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন জাহিদ বলেন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কোন হাত নেই।