৩০ জানুয়ারীর নির্বাচনে কোটচাঁদপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দি¦তা করছেন ৩ জন প্রার্থী। তবে মূল লড়াই হবে ২ জন প্রার্থীর মাঝে এমনটাই জানালেন সাধারণ ভোটাররা। এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের আশাবাদ প্রকাশ করলেন ৩ প্রার্থীই।
এ নির্বাচনে আরো কয়েকটি ওয়ার্ডের ন্যায় জমে উঠেছে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট যুদ্ধ। দুদসরা-ভবানিপুর নিয়ে এ ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের রয়েছে ১০ টি পাড়া। পাড়াগুলো ঘোষপাড়া, কারিগর পাড়া, জোল পাড়া, দেশ পাড়া, ঘাট পাড়া, হঠাৎ পাড়া, গাজী পাড়া, মসজিদ পাড়া, দাস পাড়া, হালদার পাড়া। নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে মাঠে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী।
যার মধ্যে রয়েছেন বর্তমান প্যানেল মেয়র ও বহুবার নির্বাচিত আনোয়ারুল ইসলাম (সেন্টু), গেল নির্বাচনের মাহবুব খান হানিফ ও নতুন মুখ দেবদাস ভট্রাচার্য। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭৪৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩৭১ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৩৭২ জন।
ভোট নিয়ে আনোয়ারুল ইসলাম (সেন্টু) বলেন, ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হলে ৫ম বারের মত পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হব। বহুবার নির্বাচিত হবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, জনগণ আমাকে ভালোবাসেন। তাই আমি বার বার নির্বাচিত হই।
সুষ্ঠু ভোট হলে জয়ী হবার কথা জানালেন এবার নির্বাচনের নতুন মুখ দেব দাস ভট্রাচার্য।
মাহবুব খান বলেন, বর্তমান কাউন্সিলর ৪ বার নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু তিনি এ ওয়ার্ডের কোন উন্নতি করেননি। অনুন্নত হয়ে পড়ে আছে রাস্তা-ঘাট, পানির লাইন, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। এ কারণে এ নির্বাচনে ওয়ার্ডবাসী আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। তারা এবার পরিবর্তন দেখতে চাই। কথা হয় দেশ পাড়ার বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে, তিনি বলেন ভালো ভোট হলে সেন্টু ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দী থাকবে না। এমনকি অন্য প্রার্থীদের জামানত বাঁচবে না। রশিদুল ইসলাম বলেন প্রতিযোগিতা হবে মাহবুব খান হানিফ ও সেন্টু ভাই এই দুই জনের মধ্যে।
মসজিদ পাড়ার মোস্তফা ও রবিউল ইসলাম জানান, এবার নির্বাচনে এলাকাবাসী পরিবর্তন চাচ্ছে। তিনি চারবার পাশ করেছেন। তবে তেমন কোন উন্নয়ন নাই। ড্রেন নাই, পানির লাইন নাই। বিদ্যুতের খুঁটি আছে বিদ্যুৎ নাই। তারা আরো বলেন ভোট আসলে কিছু শাড়ি-কাপড় দিয়ে ভোট করে নেন। এরপর আর কোন খোজ থাকে না।