ভবঘুরে মাদক সেবীর কাইচির আঘাতে দিন মজুর সবুজ খান (৩৭) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে কোটচাঁদপুর পুরাতন গরুর হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুমন সর্দার জানান,সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে বাজারে যাচ্ছিলাম। এ সময় পাশের খালের উপরে আলম ও সবুজের মধ্যে ধস্তাধস্তি চলছিল। কিছুক্ষন পর দেখি সবুজ বুক ধরে দৌড়াচ্ছে। আর আলম আরেক দিকে দৌড়াচ্ছে। পরে শুনতে পারলাম সবুজকে ছুরি মারা হয়েছে।
মৃত সবুজ খানের মামা বাবু বলেন,আমার ভাগ্নে কোন দিন খারাপ কাজ করত না। সে একটা ফ্রেস ছেলে। আগে কোটচাঁদপুরে দিন মজুরের কাজ করত। মাঝখানে ঢাকা চলে গিয়ে ছিল। সে ঢাকায় ব্যবসা করে। গেল সপ্তাহে বাড়িতে এসেছে। তাঁর সঙ্গে কোন শত্রুতা থাকার কথা না। তবে কেন খুন করল বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন,আলমের ছুরির আঘাত খেয়ে সে দৌড়ে আমার বাড়িতে আসে এবং আমাকে বলে মামা আলম আমাকে কাইছি দিয়ে বুকে মেরেছে বলতে বলতে মটিতে পড়ে যায় । পরে আমি তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। ওই সময় সে বেচে ছিল। চিকিৎসা দেয়ার কিছুক্ষন পর সে মারা যায়। সবুজ খান কোটচাঁদপুর পুরাতন গরুর হাট এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।
অন্যদিকে আলম হোসেন কোটচাঁদপুর সলেমানপুর দাসপাড়ার ঘড়ি ম্যাকানিক শামসুদ্দিনের ছেলে। জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে সে মাদকে আসক্ত ছিলেন। কোন কাজ কর্ম করত না । বর্তমানে একটা সাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে মাদকদ্রব্য বিক্রি করত বলে জানিয়েন এলাকাবাসী।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিরিন সুলতানা জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীবিত অবস্থায় আসে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেছিলাম। কিছু ক্ষণ পর মারা যায়।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন,মাদক সেবীর ছুরির আঘাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কি কারনে এ ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে,যে আম বাগানে বসে সে নেশা করত। সেটা নিয়ে হয়ত দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সবুজ কে ছুরি দিয়ে সে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর থেকে আলম এলাকা ছেড়েছেন। পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুুতি চলছিল।