কোনো জ্বালাও-পোড়াও করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।
তিনি বলেন, কোনো জ্বালাও-পোড়াও করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি আন্দোলনের নামে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছিল তার খেসারত দিতে হয়েছে। বিগত দিনের মতো এবারও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের খেসারত দিতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনের নামে সরকার নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে বিএনপির এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ভ্রান্ত রাজনীতির কারণে এখন তারা দিশেহারা। দিশেহারা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কী বলে না বলে সেটি আমলে নেয়ার কিছু নেই। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ইশতেহারে ঘোষণা করেছিল রাষ্ট্রক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রথম শর্ত প্রথম স্মার্ট নাগরিক সিটিজেন তৈরি করা। স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলতে হবে। সবগুলো যখন করা সম্ভব হবে তখনই স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।
শেখ হাসিনা দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গায় পরিণত হয়েছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। বিশ্বের বড় বড় অর্থনীতিবিদরা বলছেন উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য। শেখ হাসিনা কথা দিয়েছিলেন এবং তা পূরণও করেছেন।
আন্দোলনের নামে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাদের দলীয় নেতা কর্মীদের খেসারত দিতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশ পৃথিবীতে নতুন পরিচিতি লাভ করেছে। যে দেশ একসময় ব্যর্থ রাষ্ট্র, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত ছিল সেই দেশকে নতুন পরিচয় এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি যথারীতি নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়েই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখবে।
ইমতিয়াজ সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সদস্য ব্যারিস্টার গৌরব চাকী, শিক্ষক মোহম্মদ হাসান জাহাঙ্গীর, শিক্ষক পরিতোষ কুমার দাস, ফারজানা আক্তার ও শাহাবুদ্দিন শেখ।