কোভিড-১৯ মহামারীতে লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন শয়ে শয়ে মানুষ। আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।প্রাণহানি ইতিমধ্যে ২ লাখ ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও নিহতের পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৮ হাজার ২৩৬ জন।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৩২ লাখ ২২ হাজার ৩৪৬ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৯৩৪ জন চিকিৎসাধীন এবং ৫৯ হাজার ৮১১ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে ১০ লাখ ২৯৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং দুই লাখ ২৮ হাজার ১৯৭ জন রোগী মারা গেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরের চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে বুধবার পর্যন্ত আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬৩ জনের মৃত্যু হল। এছাড়া গতকাল পর্যন্ত নতুন করে আরো ৬৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট সাত হাজার ১০৩ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী- এখন পর্যন্ত ভাইরাসটির সংক্রমণ সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৩ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৬৫৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৪২৮ জন আর মারা গেছেন ২ হাজার ৩৯০ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। নতুন ৩২৩ জনসহ দেশটিতে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৭৮২ জন। দেশটিতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৬ জন।
ইউরোপে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৪১৯ জনের, যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মারা গেছেন আরও ৭৬৫ জন। সবমিলিয়ে দেশটিতে ২৬ হাজার ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে যা ইউরোপের মধ্যে দ্বিতীয়।
ডাউনিং স্ট্রিটে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব এ মৃত্যুর সংখ্যাকে ‘হঠাৎ উত্থান’ বলে মনে করেন না। তিনি বলেন, আমরা নতুন পদ্ধতিতে মৃতের সংখ্যা গণনা করছি। যার কারণে সংখ্যা বেড়েছে। হঠাৎ করে মৃত্যু বাড়েনি।
মৃতের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা স্পেনে অবশ্য ইতালির চেয়েও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৭৭১ জনসহ মোট আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৬ হাজার ৮৯৯ জন। আর নতুন ৪৫৩ জনসহ এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৪ হাজার ২৭৫ জন।
এছাড়া ফ্রান্সে ২৪ হাজার ৮৭ জন, বেলজিয়ামের ৭ হাজার ৫০১ জন, জার্মানিতে ৬ হাজার ৪৬৭, ইরানে ৫ হাজার ৯৫৭, ব্রাজিলে ৫ হাজার ৫১১, নেদারল্যান্ডসে ৪ হাজার ৭১১ জন, তুরস্কে ৩ হাজার ৮১, কানাডাতে ২ হাজার ৮৬৯ এবং সুইডেনে ২ হাজার ৯৯৬ জন মারা গেছেন। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন