করোনা মহামারীর নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন বেড়ে গেলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্ব উপেক্ষা করে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচির আওতায় ঝিনাইদহ জেলা ক্রীড়া অফিস আয়োজন করলো অ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ খেলাধুলা প্রতিযোগিতা।
বুধবার সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে ঝিনাইদহ জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা ২২ টি ইভেন্টে অংশ গ্রহন করে। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ অতিথি ও আগত দর্শনার্থীদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্বর কোন বালাই ছিল না।
মহামারী করোনায় কমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকসহ এলাকার সূধীজন। করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে সরকার নীতিমালা আরোপ করেছেন। এখনো পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীদের কে টিকার আওতায় আনতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। সেখানে জেলা ক্রীড়া অফিস কিভাবে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে এমন আয়োজন করলো ? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলে।
অ্যাথলেটিক্স ও গ্রামীণ খেলাধুলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, নির্দেশনার পূর্বেই আয়োজনের শিডিউল ছিল। যার ফলে জেলা ক্রীড়া অফিস এমন আয়োজন করেছে। তবে এ ধরনের আয়োজন আর হবে না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিযোগিতার আয়োজক জেলা ক্রীড়া অফিসার মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, যারা খেলা ধুলা করে মূলত এদের ইউনিটি পাওয়ার অনেক বেশি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি, এর আগেই অ্যারেজমন্টে করা। খেলা ধুলার কোন বিধি নিষেধ নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়েছে, কিন্তু বাচ্চারা মানে নাই।