সিরিজ খেলতে এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় আছে ভারতীয় দল। কিন্তু তাতে কজনই বা মনোযোগ দিতে পারছেন? আসল উত্তেজনা তো ছড়াচ্ছে মাঠের বাইরের ‘খেলা’!
ওয়ানডেতে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্ব হারানো ও রোহিত শর্মার নেতৃত্বের মসনদে ওঠা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই তোলপাড় চলছে ভারতীয় ক্রিকেটাঙ্গনে। বাইরে যতই সম্প্রীতির কথা বলা হোক না কেন, কোহলিকে সরিয়ে রোহিতকে অধিনায়ক বানানোর পথটা যে মোটেও মসৃণ ছিল না, সেটা কোহলি ও বিসিসিআইয়ের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যেই স্পষ্ট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কোহলি। এরপর টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব যায় রোহিতের হাতে। এরপর আলোচনা ছিল, ওয়ানডেতে কোহলিকে অধিনায়ক রাখা হবে কি না। এমন আলোচনার মধ্যে হঠাৎ করেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে রোহিতের নাম ঘোষণা করা হয়।
ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে কোহলিকে সরিয়ে দেওয়ায় ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের তোপের মুখে পড়েছেন বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী আর নির্বাচকেরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সৌরভকে নিয়ে অনেক কিছুই লেখা হচ্ছে। অনেকেই এমন সিদ্ধান্তের পেছনে সৌরভের ব্যক্তিগত অভিসন্ধি খুঁজে নিচ্ছেন। তবে সৌরভ নিজেই জানিয়েছেন, নির্বাচকেরা সাদা বলের ক্রিকেটে আলাদা দুই অধিনায়ক চাইছিলেন না বলেই কোহলিকে ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফলে এক রকম মুখোমুখি অবস্থানেই আছেন যেন কোহলি-সৌরভ। এর মধ্যেই কোহলিকে নিয়ে করা আরেক মন্তব্যের জন্য আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বিসিসিআই সভাপতি।
গুরগাওঁয়ের এক অনুষ্ঠানে সেদিন অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। কথায় কথায় উপস্থিত শ্রোতারা অনেক কিছুই জানতেন চান সৌরভের কাছে। অবধারিতভাবেই উঠে আসে কোহলির প্রসঙ্গ। কোহলির আচার-আচরণ নিয়েও মন্তব্য করতে হয় সৌরভকে।
তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন খেলোয়াড়ের আচার-আচরণ ভালো লাগে। উত্তরে কোহলির নাম বললেও একটা ‘কিন্তু’ রেখে দিয়েছেন সৌরভ, ‘আমি কোহলির আচার-আচরণ ও মানসিকতা পছন্দ করি, কিন্তু ও বড্ড বেশি ঝগড়াটে!’
ক্রিকেটের বাইরেও অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় সৌরভকে। একজন যেমন জিজ্ঞেস করেন, জীবনে চাপ সামলানোর উপায় কী। রসিক সৌরভ তখন সময়ক্ষেপণ না করেই জবাব দেন, ‘জীবনে চাপ বলে আসলে কিছু নেই। শুধু স্ত্রী আর বান্ধবীই চাপ বাড়াবে আপনার জীবনে!’